সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২৯ এপ্রিল: মহিলা, বৃদ্ধ ও অসুস্থ গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের টাকা তুলতে হয়রানি দূর করতে নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হলেন পুরুলিয়ার দুই যুবক। আনাড়া পঞ্চায়েত এলাকার বড়াহির গ্রামে তাঁদের বাড়ি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু করলেন দুই যুবক অসীম চক্রবর্তী। তাঁকে সহযোগিতা করেন বন্ধু শঙ্কর বাগদি। বুধবার, থেকেই এই পরিষেবা নিলেন উজ্জ্বলা যোজনা এবং জনধন যোজনার উপভোক্তারা।
কেন্দ্রের এই দুই প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে যে দিন থেকে আসতে শুরু করে তার পর ব্যাঙ্কে ভিড় শুরু হয়ে যায়। এক দিকে প্রচণ্ড রোদ গরম তার উপর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত ঝামেলা, ভিড় এবং দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্তি হয়রানি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন উপভোক্তারা। অথচ তাদের সংসার চালাতে ওই টাকা খুবই প্রয়োজন। কাজেই গ্রাম থেকে তিন চার কিলোমিটার দূরে হেঁটে ব্যাঙ্কে যাওয়া এবং বেশির ভাগ দিন টাকা না পেয়ে ফিরে আসা, সবকিছু মিলিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন উপভোক্তারা। সমস্যাটা খুব কাছ থেকে কয়েকদিন আগে থেকে দেখছিলেন বড়াহির গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অসীম। এক বন্ধু শঙ্করের সাহায্যে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ালেন তিনি। গ্রামের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে একরাস প্রশান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেন উপভোক্তারা।
অসহায় গ্রামবাসীদের এই সুবিধা দিতে পেরে পরিতৃপ্ত অসীম ও শঙ্কর। তাঁরা জানান, ‘ব্যাঙ্কে সপ্তাহে এক দিন এই টাকা তোলার দিন নির্দিষ্ট হয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন উপভোক্তারা। বিশেষ করে মহিলা ও বৃদ্ধরা দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। আজ এই রকম ১২ জন আমাদের কাছ থেকে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। অসময়ে মানুষের পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। এই পরিষেবা প্রাথমিকভাবে আমার গ্রামে দিলেও পরবর্তীকালে পাশের গ্রামের উপভোক্তাদের এই সুযোগ করার জন্য চিন্তা ভাবনা রয়েছে।’