দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি তছনছে সমর্থন নেটাগরিকদের

আমাদের ভারত, ৯ আগস্ট: “শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে মোদীর!” এই মন্তব্য করে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি করেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। টাকা খাওয়ার অভিযোগে তাঁর উপস্থিতিতেই তাঁর বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় তাণ্ডব চালায় দলীয় কর্মীদের একাংশ। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে আসার পর নেটাগরিকদের তোপ তৃণমূল বিধায়ককে।

ইদ্রিসের বাড়িতে নির্বিচারে চলে ভাঙ্গচুর। ওলট-পালট করে দেওয়া হয় ঘরের আসবাবপত্র। একের পর এক বাঁশ-লাঠির আঘাতে বাড়ির বাইরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে টেবিল চেয়ার। খবরটি পোস্ট করার পর ৬ ঘন্টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪০০, ২২২ ও ১৩৩।

স্নেহাংশু কর্মকার লিখেছেন, “এখন আর জ্ঞান দেবার জায়গায় তৃণমূল নাই, পুরো টিমটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। অলোক মন্ডল লিখেছেন, “আরে ভাই ভরা জনসভায় তো উনি বলেছেন যে ভাগ করে খাবে। একা খাবার চেষ্টা করবে না। তাই তো সবাই লুটেপুটে খাচ্ছে। সমীর ধারা লিখেছেন, “নিজের তো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর মতো অবস্থা হয়ে গেছে। পাবলিক ঘড়বাড়ি ভেঙ্গে দিচ্ছে।“

গৌতম ভট্টাচার্য লিখেছেন, “দলের লোকেরাই পিটিয়ে ছাল তুলে দিচ্ছে। সেমসাইড খেলা বেশ ভালো লাগছে।” শ্রাবন্তী মন্ডল লিখেছেন, “শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে আমার পিসির।” দেবকুমার দাস লিখেছেন, “তৃণমূলে সৎলোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল।”

পবন বিশ্বাস লিখেছেন, “এতো টাকা যদি নেতা মন্ত্রীদের হাতে যায়। তাহলে, দেশের জনগণ অভাবেই পড়বে। পুরো টিমটা কি প্রতিজ্ঞা করে নেমেছে। উজ্জ্বল দত্ত লিখেছেন, “এরা সমাজের কলঙ্ক হয়েই বাঁচবে ভবিষ্যতে। মিথ্যাচার আর কতদিন চলতে পারে।” রামকৃষ্ণ কুশারী লিখেছেন, “তবুও এই চোরের দলকেই সবাই ভোট দেবে আবার এরাই জিতে সরকার গড়বে!” মনোজিৎ দত্ত লিখেছেন, “এদের ভারতের অর্থনীতির উপর কোনও জ্ঞান আছে বলে মনে হয় না। শুধু মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করাই এদের মুখ্য কাজ।”

সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি এখন পশ্চিমবঙ্গে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সরকারি চাকরির পর এবার দলীয় পদ পাইয়ে দিতেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *