মমতার ওডিয়া কথা নিয়ে নেটনাগরিকদের তোপ অব্যাহত

আমাদের ভারত, ২৪ মার্চ: পুরীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর ওডিয়া ভাষায় কথা বলাকে তোপ দেগেছেন নেটনাগরিকরা। কয়েকশো ব্যঙ্গ ভেসে বেড়াচ্ছে ফেসবুকের দেওয়ালে।

মলয় চ্যাটার্জি নামে এক নেটনাগরিক ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও যুক্ত করে লিখেছেন, “যাক গাউন্তি…। দিনের শেষে একটা কথা বলে যাউন্তি। এমন ওড়িয়া শুনন্তি তো আমার মাথা ঘোরান্তি।”

১৪ ঘন্টায় এই ভিডিওতে মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ১৪৭ ও ৪১ জন। দেখেছেন ছ’হাজারের ওপর। এরকম একাধিক পোস্টে অনেক প্রতিক্রিয়া এসেছে।

শর্মিষ্ঠা সরকার লিখেছেন, “উঃফ্, যন্তর বটে একখানা।” অপর্ণা বিশ্বাস লিখেছেন, “আমরাই এনাকে ভাইরাল করি উনি যেটা চান! আমারে দেব না ভুলিতে——“। অভিজিৎ সেনগুপ্ত লিখেছেন, “আর হাসতে পারিনা। অনসূয়া বসু লিখেছেন, “এটার নাম ভণ্ডামি। ভাষার অপমান।”

স্বান্ত্বনা সরকার দাস লিখেছেন, “চুপিচুপি একটা কথা বলি। ওনার কান মনে হয় খারাপ। কী বলে নিজেই শোনেনা। কান খারাপ বলি কি করে। ভাষা বা শব্দ না শুনলে সেটা রিপিট হবে না। কিন্তু যারা সাথে পাছে থাকে তারাও কি ‘ভুলভাল শিক্ষানিকেতনের’ ছাত্রছাত্রী। তবে মন্দ লাগে না শুনতে। অজ্ঞান অর্জন হয়।“

অমিত বসু লিখেছেন, “ওড়িশার মানুষজন সাধারনভাবে এসব খুব ভালো চোখে দেখেন না। যে কোনো ট্যুর গাইড বা ট্যুর অপারেটরের সাথে কথা বললেই দেখবেন ওঁরা পুরী বা অন্য কোথাও গিয়ে স্পষ্ট বাংলায় কথা বলার পরামর্শ দেন। ওড়িশার মানুষ বাংলা বোঝেন, অসুবিধে হয় না। তাই বলে সঠিকভাবে ভাষাটা না জেনে বলার চেষ্টা করতে লাগল ওঁরা মনে করেন ওঁদের ভ্যাঙ্গানো হচ্ছে বা মস্করা করা হচ্ছে।”

কাজী ফয়জল নাসের লিখেছেন, “আসল ক্রেডিট পাশে দাঁড়ানো অফিসারদের। এর পরেও গম্ভীর মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই।” ধীমান কৃষ্ণ চক্রবর্তী লিখেছেন, “ভিডিওটা প্লে করার পর ফোনটা অফ হয়ে গেল। এর দাম কে দিবন্তি?”

অরুণাভ ব্যানার্জি লিখেছেন, “অসম্ভব চালাক মহিলা। ইচ্ছে করে করে। সোমা মুখার্জি লিখেছেন, “ইয়েকে ইয়ের মত থাকতে দাও, ইয়ে তো ইয়ের মত গুছিয়ে নিয়েছে ডিএ না পাও যদি তা না পাওয়াই থাক। শ্রী পেলেই ঝক্কাস জীবন!” অঞ্জন চক্রবর্তী লিখেছেন, “যাচ্ছে তাই! সব কিছুর পিছনে অন্তি জুড়ে দিলেই ওড়িয়া ভাষা শেখা হয়ে গেল, এইগুলো মজা নয় একটা ভাষাকে অশ্রদ্ধা বলেই মনে হলো।“

শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “একটা কথা অস্বীকার করা যায় না, তিনি এই ভাঁড়ামো করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিজেকে রাখতে চান। মুষ্টিমেয় মানুষ হাসেন আর অধিকাংশ তালি দেয়। আসলে যেখানে ভিক্ষা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা, সেখানে তালি কথা বলে। বাকিদের জন্য তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।”

সত্য সরকার লিখেছেন, “গোপাল ভাঁড়ের মহিলা সংস্করণ। ইয়ার্কি মারে নাকি!“ মুকুলেন্দু বিকাশ মণ্ডল লিখেছেন, “আমি বাংলা জানুন্তি, আমি ইংরাজি জানুন্তি, আমি অসমীয়া জানুন্তি, আমি গুজরাটি জানুন্তি, আমি পাঞ্জাবি জানুন্তি, আমি কেরেলা জানুন্তি, আমি গোয়া জানুন্তি, আমি অন্ধ্র জানুন্তি, আমি ওড়িয়া জানুন্তি!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *