হিন্দিকে ইংরেজির বিকল্প করতে অমিত শাহর দাওয়াইয়ে নেটিজেনদের তোপ

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৮ এপ্রিল: “হিন্দি ভাষাকেই ইংরেজির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।“ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের মাত্রা বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। শুক্রবার একটি সংবাদ চ্যানেলে খবরটি সম্প্রচারের পর দ্রুত বেড়ে চলেছে প্রতিক্রিয়া।

ইন্দ্রনীল মুখার্জি লিখেছেন, “ইঞ্জিরী না বলতে পারার হতাশা!“ সনিয়া দেবমুখার্জি লিখেছেন, “হিন্দি কেন? আরআরআর সুপারহিট, তাই তেলেগুকে বিকল্প ভাষা করা হোক।“ দিলীপ মজুমদার লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলা ভাষাকে ইংরেজির বিকল্প ভাবা উচিত। এই সব জেল খাটা আসামির কথা শুনে কোনও লাভ নাই। ডিজেল পেট্রল গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া দাম বাড়িয়ে মানুষের বিবেকটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।“

সুপ্রিয় বসু লিখেছেন, “পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। ওষুধ ও চিকিৎসা খরচ নাগালের বাইরে। মানুষের দিশেহারা অবস্থা। ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। তাই এরা ভাষা ও ধর্ম দিয়ে মানুষের মন ঘোরাতে চেষ্টা করছে।“ শেখ মহিউদ্দীন ইসলাম লিখেছেন, “যারা বাংলা ভাষার মর্ম বোঝে না, বাংলায় কথা বলতে পারে না, তাদের মুখে এই কথাগুলো শোভা পায়?“

অমিত চক্রবর্তী লিখেছেন, “যেহেতু পশ্চিমবাংলায় একটা ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাই ভয় পেয়ে খুব তাড়াতাড়ি হিন্দির স্বার্থে কিছু একটা আইন আনবে বলেই মনে হয়।“ সুমন দেবনাথ লিখেছেন, “বাংলা ভাষা সারা দেশে চালু করুন আর নিজের পদবীটা “সাহা”তে এপিটওপিট করে নিন। মাছেভাতে বাঙালি হয়ে উঠুন।“ শৌভিক সরকার লিখেছেন, “ওসব বিকল্প টিকল্প জানি না। বাংলায় বাংলার কোনো বিকল্প তৈরি হবে না, পাতি কথা। হিন্দি কোনো বড় হনু না যে সবাইকে জানতে হবে।“

কৌশিক চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “মাতৃভাষা কেড়ে নেওয়া মানে জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া, সেই প্রচেষ্টাই হচ্ছে।“ রুবী রোজ লিখেছেন, “গুটকাখোর নিপাত যাক।“ সঞ্জয় গুড়িয়া লিখেছেন, “আমরাও স্কুলে ইংরেজি পড়তে না পারলে, বাংলায় করে দেওয়ার কথা ভাবতাম, উনারও একই অবস্থা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *