গ্রিন জোন রইল না রাজ্যে! নতুন ৩১৭ করোনা পজিটিভে ছুঁল ৫০০০ আক্রান্তের গণ্ডি, মৃত আরও ৭ : বুলেটিন

রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ মে: একদিনে নতুন চার রেকর্ড রাজ্যের। রাজ্যের সমস্ত গ্রিন জোনের তকমা হারানো, ৫০০০ এর গণ্ডি পেরোনো, কলকাতায় ২০২ মৃত্যু, আবার একদিনেই ১৯৫ জন সুস্থের ৪টি রেকর্ড গড়ল রাজ্য। এবার একমাত্র শেষ গ্রিন জোন কোচবিহারেও একদিনে ৩২ আক্রান্তের খোঁজ মেলায় রাজ্যের সমস্ত গ্রিন জোনই ঢুকে গেল অরেঞ্জ জোনে। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৩১৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫১৩০ জন। আরও ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মোট করোনায় মৃত্যু ২৩৭ জনের।

অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন অন্য উপসর্গে ৭২ জনের মৃত্যুর হিসেব ধরলে রাজ্যে মোট মৃত্যু ৩০৯ জনের। তার মধ্যে কলকাতাতেই ২০২ জনের মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হল। একই সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় আরও এদিন রেকর্ড পরিমাণ ১৯৫ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ১৯৭০ জন। সুস্থ হওয়ার হার ৩৮.৪০ শতাংশ। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ২৮৫১ জন। তার মধ্যে এদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১১৫ জনের। রাজ্যের ৬৯টি করোনা হাসপাতাল, ১৬টি সরকারি এবং ৫৩টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৭৮৫টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ৯২০ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯২টি। তার ১৮.৬০ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।

বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যে সব মিলিয়ে রাজ্যের ৪০টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্টের সংখ্যা ১৯৪৩৯৭ জনের। ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৩৪৬ জনের। সরকারি ৫৮২টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ১৬১৫২ জনকে। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৫০১৮৫ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১২৫২৮৭ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৮৬৭১২ জনকে।

এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, কলকাতায় ৮০ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট সংক্রমণ ২০৫৩ জনের। এদিন কলকাতায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় কলকাতাতেই মোট মৃত্যু ২০২ জনের। তারপরেই হাওড়ায় ৪২ জনের সংক্রমণ বেড়ে মোট সংক্রমণ ৯৮২ জনের। তারপরে উত্তর ২৪ পরগনায় ৩০ সংক্রমণ বেড়ে মোট সংক্রমণ ৬৭৫ জনের। এখানে এক জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪২ জন। এছাড়া পুরুলিয়া, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার ছাড়া উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বেড়েছে গোটা রাজ্যেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *