আমূল পরিবর্তন স্কুলশিক্ষায়! ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষা, উঠছে স্ট্রিম বিভাজন, গুরুত্বহীন মাধ্যমিক

আমাদের ভারত, ২৯ জুলাই: আজ থেকে ইতিহাসের পাতায় স্থান নিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এই মন্ত্রকের নতুন নাম শিক্ষা মন্ত্রক। আর মন্ত্রকের নাম পরিবর্তনের সাথেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। নয়া শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষায় ঘটে যাবে আমূল পরিবর্তন। দেখতে গেলে নতুন শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক প্রায় গুরুত্বহীন। তবে গুরুত্ব বাড়ছে উচ্চমাধ্যমিকের। একাদশ-দ্বাদশে কোনও স্ট্রিম বিভাজন থাকছে না। একই সঙ্গে একটি দফতরের হাতেই উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রণ থাকছে। নতুন শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা বা শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক ভাষাকে মাধ্যম করতে হবে।

অন্যদিকে স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কোডিং শিক্ষা শুরু হয়ে যাবে। ছাত্রদের মধ্যে স্কুল জীবন থেকে অংক, বিজ্ঞান ভাবনা বাড়াতে ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হল আঞ্চলিক মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নয়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক মাতৃভাষাকে সামনের সারিতে রাখার কথা বলা হয়েছে। নতুন শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা বা শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক ভাষাকে মাধ্যম করতে হবে। সেটা যদি অষ্টম বা তার বেশি করা যায় তা আরো ভালো। স্কুল স্তরে ও উচ্চশিক্ষায় সংস্কৃত পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। অর্থাৎ তিনটে ভাষা পড়ানো হবে। ক্লাস সিক্স থেকেই প্র্যাকটিক্যাল এসাইনমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে

১৫ বছরের স্কুল শিক্ষাকে ভাগ করা হয়েছে ৫+৩+৩+৪। ১২ বছরের স্কুলের পঠনপাঠনে ওয়ানের আগে তিন বছরের প্রিপ্রাইমারি এবং অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষা এবং ওয়ান টু মিলিয়ে ৫ বছরের। ক্লাস ওয়ান–টু’কে রাখা হয়েছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে। ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ আটটি সেমিস্টারে পড়াশোনা চলবে। চার বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। একাদশ দ্বাদশে কোনও স্ট্রিম ভাগ থাকবে না। অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকে কলা ও বিজ্ঞান থাকছে না। থাকবে না বিষয়ে বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতা। অর্থাৎ কেউ চাইলে রসায়নের সঙ্গে ইতিহাস, পদার্থবিদ্যার সঙ্গে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে।
শিক্ষক কতটা পড়ালেন, কেমন পড়ালেন পড়ুয়ারা কতটা মনোযোগী সম্পূর্ণ বিষয়ে রিপোর্ট কার্ডে মূল্যায়নে উঠে আসবে।

অন্যদিকে উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন ও গবেষণায় জোর দিয়ে একগুচ্ছ নীতি বদলের ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার কোর্সে ভর্তিতে কমোন এন্ট্রান্স টেস্ট দিতে হবে। তৈরি হবে ন্যাশনাল প্রেস এজেন্সি। এমফিল উঠে গিয়ে শুধু থাকবে পিএইচডি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here