আমাদের ভারত, ৪ জুন: গত ৩১ মে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্য সচিব হিসেবে নিজের কর্ম জীবন শেষ করেন তিনি। তাঁর অবসর গ্রহণের পরই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেন। এই ঘটনার চারদিনের মধ্যেই সেন্ট্রাল ভিজিলান্স কমিশন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল এবার থেকে যে কোনও আমলাকে অবসর গ্রহণের পর যদি সরকারি পদে নিয়োগ করতে হয় তাহলে ভিজিলান্সের ছাড়পত্র লাগবে।
কেন্দ্রীয় ভিজিলান্স কমিশন বলেছে, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস গ্রুপের এ গ্রেডের অফিসার বা তার সম মর্যাদার অফিসারের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে যে সংস্থার হয়ে সংশ্লিষ্ট আমলা কাজ করেছেন সেই সমস্ত সংস্থারও ছাড়পত্র লাগবে নিয়োগের ক্ষেত্রে। তবেই তাঁকে নিয়োগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে এই সব ধাপ পেরিয়ে তবে কাজে যোগ দিতে হবে।
ভিজিলান্স কমিশন আরো বলেছে, যদি কোনও পদে কোনও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলাকে নিয়োগ করতে হয় তাহলে একজনকে বেছে নিয়োগ করে দিলে হবে না। তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। যাতে সমমর্যাদার বাকিরাও আবেদন করার সুযোগ পান। তা না হলে এই নিয়োগ পক্ষপাত দুষ্ট হতে পারে।
তবে ভিজিলান্স কমিশনের এই নতুন নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ প্রশ্ন উঠেছে ভিজিলান্স কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকা কি আলাপান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগের উপর প্রভাব ফেলবে? ভিজিলান্স বলেছে এবার থেকে যাদের নিয়োগ করা হবে তাদের জন্য এই ছাড়পত্র লাগবে। ফলে এই নির্দেশ আলাপনবাবুর জন্য প্রযোজ্য হবার কথা নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলাপনবাবুর আগেও রাজ্যে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, গৌতম সান্যালকেও নিয়োগ করেছিল নবান্ন। অন্যান্য রাজ্য তথা কেন্দ্রেও এই ঘটনা বহুবার দেখা যায়। কিন্তু কাকতালীয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে আলাপন পর্বের পরেই নির্দেশিকা জারি করল সিভিসি।