আমাদের ভারত, ৬ জানুয়ারি: মিনিস্ট্রি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট বায়োটেকনোলজির সচিব রেনু স্বরূপ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আজ পর্যন্ত গোটা দেশে ব্রিটেনের নতুন প্রজাতির করণায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ জন। অর্থাৎ একদিনে ১৩ জনের শরীরে এই নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলল। সর্তকতা নেওয়া হয়েছে, তার পরেও দেশে ক্রমশই নয়া স্ট্রেনের করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মঙ্গলবার দেশজুড়েকরোনার নয়া ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮। বুধবার আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৩ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আতঙ্কও ছড়াচ্ছে।
ব্রিটেন সহ বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের করোনা পজিটিভ হলেই তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। সরকারি হিসেব বলছে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে ৩৩ হাজার যাত্রী ফিরেছে ভারতে। এদের খুঁজে বের করে তাদের আরটিপিসিআর টেস্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। জিনোম সিকুয়েন্স করা হচ্ছে আক্রান্তদের সোয়াব নমুনার। দেশের মোট দশটি সরকারি ল্যাবে এই বিশ্লেষণ করা চলছে। কলকাতার এন আই বি এম জি ল্যাবে, ভুবনেশ্বরের একটি, পুনে,হায়দ্রাবাদ,বেঙ্গালুরু ও দিল্লির, দুটি করে ল্যাবে এই বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
ব্রিটেনে খোঁজ পাওয়া করোনার এই নয়া প্রজাতি কোভিড-১৯ এর থেকেও৭০ গুণ বেশি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। সেই কারণেই এতে যেমন আতঙ্ক-বেড়েছে তেমন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দেশজুড়ে। দিল্লি ও মুম্বাইতে এই নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
আক্রান্ত যাত্রীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। যাতে খুব তাড়াতাড়ি তাদের আইসোলেট করা যায়, সরকার আগেই এই ভাইরাসটি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফের জানানো হয় সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। স্যাম্পল টেস্ট, নজরদারি, কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।