আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৬ জুন: ফের বিতর্কিত মন্তব্য ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়ের। এবার তৃণমূল আসা নতুন নেতা কর্মীরা মধু খেতে এসেছেন বলে তিনি দাবি করেন। এই মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে অঞ্চলে অঞ্চলে চলছে কর্মী সম্মেলন। দিন কয়েক আগেই কাষ্ঠগড়া অঞ্চল সম্মেলনে রামপুরহাটের বিধায়ক, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত পঞ্চায়েত সদস্য এবং কাউন্সিলরদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে ফেলেছিলেন। এবার নতুনদের মধু খেতে আসার সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন। রবিবার বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের মাসরা অঞ্চলে ছিল তৃণমূলের কর্মিসভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশিসবাবু বলেন, “একটা সময় ছিল যখন কেউ তৃণমূলের পতাকা ধরতে সাহস পেত না। ভয়ে কাঁপত। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তারাই এখন দলে যোগদান করছেন মধু খেতে। তবে একটা জিনিস ভালো লাগছে তারা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পা ধরে দলে যোগদান করছেন। সেই জন্য তাদের ধন্যবাদ”।
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ বগটুই কান্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি করা হয় সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে। একসময় জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন জিম্মি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু আশিসবাবুর সঙ্গে তার সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। ফলে তাঁকে মঞ্চে বসিয়ে আশিসবাবু একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। যদিও আশিসবাবুর আজকের মন্তব্য তাকে উদ্দেশ্য করে কিনা তা পরিষ্কার নয়। কারণ এনিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
জিম্মি সাহেব বলেন, “আশিসবাবুর মন্তব্যের ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। তবে আমি মনে করি এখনও যাঁরা দলে আসছেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে দেখে এবং দলকে ভালোবেসে আসছেন”।
বোলপুরের বিধায়ক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “আশিসবাবু কোন উদ্দেশ্যে এবং কাকে বলতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা উনিই দেবেন। তবে জেলা থেকে রাজ্য কারা দলে যোগদান করবেন সেটা দলের উপরের নেতারা ঠিক করেন। তারা ভালো বুঝেই নিশ্চয় যোগদান করান”।