নিজামুদ্দিন যোগ ! সংক্রমণ ছড়াতে পারে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমেও , ক্যাম্পে না ফেরাদের খোঁজার নির্দেশ কেন্দ্রের

আমাদের ভারত, ১৮ এপ্রিল: এই মুহূর্তে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম বড় কারণ তবলিগি জামাতের জমায়েত। সেই তাবলিগি জামাতের জমায়েতে রোহিঙ্গারাও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু জমায়েত থেকে তারা অনেকেই উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ফেরেনি। কিন্তু নিজাম যোগ থাকায় তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই রোহিঙ্গাদের উপর নজর রাখার জন্য রাজ্য সরকার গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের একাধিক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে মায়ানমার থেকে আসা ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। কিন্তু তাদের তথ্য সরকারের কাছে নেই। করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই রোহিঙ্গাদের খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।

সব রাজ্য সরকার গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করতে। এদের মধ্যে কারোর যদি করোনা উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলিতে নিয়মিত সন্ধান নিতে হবে।

খবর পাওয়া গেছে দিল্লির নিজামুদ্দিন তবলিগি জামাতের জমায়েতে অংশ নিয়েছিল রোহিঙ্গারা। তাই তাদের মধ্য এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। সেই কারণেই রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

মূলত হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্প গুলির উপর বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। জানানো হয়েছে হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা ও মেরঠেরর ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা তবলিগের জমায়েতে যোগদান করেছিলেন। এরপর তারা নিজামুদ্দিনের মারকাজেও গিয়েছিলেন। যেখানে জামাত সদস্যরা ছিলেন। শ্রমোবিহার, শাহীনবাগের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা তাবলিগি জামাতের জমায়েতে গিয়েছিল। কিন্তু তারা নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে আসেনি।

জানা গেছে এখনো পর্যন্ত নিজামুদ্দিনের মসজিদের যোগ দেওয়া প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করেছে সরকার। মোবাইল ফোন ছাড়াও অন্যান্য তথ্য দিয়ে এই জমায়েতকারীদের চিহ্নিত করার কাজ করে চলেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সব রাজ্য থেকে এই জমায়েতে মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গারাও এই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু তাদের সম্পর্কে তথ্য নেই। তাই অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। নাহলে এদের মাধ্যমেও এই মারণ ভাইরাস ব্যপক হারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *