ফিরিয়ে দেওয়া কিশোরকে বিধায়কের হস্তক্ষেপে ভর্তি করল নীলরতন

আমাদের ভারত, বীরভূম, ১ ফেব্রুয়ারি: যে হাসপাতাল এক দিন আগে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। সেই হাসপাতালই ভর্তি নিল নলহাটির কিশোরকে। শনিবার হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেসের বিধায়ক মিল্টন রশিদের হস্তক্ষেপে, কলকাতার কংগ্রেস কর্মীদের প্রচেষ্টায় ওই কিশোরের চিকিৎসা শুরু হয়। ছেলেকে ভর্তি নেওয়ায় স্বস্তিতে বালকের পরিবার।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গ্রামের মাঠে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে বিদ্যুৎ সংযোগ করছিল বছর পনেরোর কিশোর নয়ন মাল ওরফে গোবিন্দ। তার বাড়ি নলহাটি থানার তৈহার গ্রামে। অসাবধান বশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খুঁটি থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন বালকের স্পাইনাল কড ভেঙ্গে গেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় হাসপাতাল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা বর্ধমান না নিয়ে গিয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে চলে যায়। পিজি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসক দেখার পর ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। সেখান থেকে পিজি লাগোয়া ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হলে বেড নেই বলে ঘুরিয়ে দেয়।

সেখান থেকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে শুক্রবার সকালে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরে পরিবার। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর হতেই নজরে আসে হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদের। তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার নীলরতন হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এরপরেই শনিবার সকালে নয়নকে নিয়ে নীলরতন হাসপাতালে পৌঁছায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তখন কংগ্রেস কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। বিধায়কের নির্দেশে তারাই ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

মরণাপন্ন ছেলের চিকিৎসা শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে নয়নের বাবা গৌতম মাল। তিনি বলেন, “ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। হাসপাতাল ভর্তি নেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি হচ্ছে। এখন ছেলেকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরতে পারলে খুশি হব”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *