অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১৯ জুন: পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা রুক্ষ মাটিতে গ্রিন হাউসের মাধ্যমে জারবেরা ফুলের চাষ করে লাভের মুখ দেখছিলেন বেলপাহাড়ির শিমুল পাল গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার এক কৃষক। জারবেরা ফুল চাষের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী রোজগারের দিশা দেখিয়েছেন বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা নির্মল মাহাত।
জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের বেড়াতে গিয়ে জারবেরা ফুলের চাষ দেখেছিলেন তিনি। তারপর ফিরে এসে কাপগারি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। জারবেরা ফুল চাষের ট্রেনিং নিয়ে গ্রিন হাউজ তৈরি করে এই চাষ করেন বলে জানান নির্মলবাবু। এই ফুলের চাষ করতে প্রথমবার খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলা উদ্যানপালন দপ্তর ৫০ শতাংশ সাহায্য করেন। এই ফুলের বাজার মূল্য ৪ থেকে ৫ টাকা এবং একটি গাছ প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত ফুল দেয়। কিন্তু বর্তমান লকডাউনে বিক্রি নেই ফুলের। ক্ষতির মুখে জারবেরা ফুলের এই চাষি। এই ফুল ঝাড়খন্ড সহ কলকাতা কোলাঘাট এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হত। বর্তমানে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বিক্রির জন্য ফুল পাঠাতে পারছেন না তিনি। আগের মাসে প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি ফুল ফেলে দিতে হয়। এই মাসে আবার বেশি পরিমাণে শুকনো ফুল ফেলে দিতে হবে বলে জানান নির্মলবাবু। সব মিলে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো তার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।