আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২০ জানুয়ারি: কয়েকদিন আগে এনআইএ’র একটি দল ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় এসে ফিরে যাওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেপ্তার করার তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে তৃণমূলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জানাগেছে, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলটি বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটক মামলার তদন্ত করতে এসেছিল। মেদিনীপুরের জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছত্রধর মাহাতোকে মঞ্চে বসিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের মুখ হিসেবে তুলেধরেছিলেন। সেই থেকে জেলায় প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে ছত্রধর মাহাতোকে গুরুত্ব দিয়ে আমন্ত্রণ জানাতে তৎপর হন দলের জেলা নেতৃত্ব। মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিরোধী দলগুলি যেমন ছত্রধর মাহাতোকে প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে আক্রমণ করছেন তেমনি তৃণমূলেরই একটি অংশ ছত্রধরের অতীত ইতিহাস স্মরণ করে তাকে প্রচারের মুখ করার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছেন।
৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসের দিন লালগড়ে তৃণমূলের আয়োজিত সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। এজন্য দলের একটি অংশ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছত্রধর মাহাতকেই জেলায় যোগ্য বলে মনে করছেন। জেলা তৃণমূলের দাবি, জঙ্গলমহলের জেলাগুলির একদা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গিয়েও তৃণমূলে সেভাবে ভাঙন ধরাতে পারেনি। এই অবস্থায় তৃণমূলের ঘর গোছাতে তৎপর ছত্রধর মাহাতোকে এনআইএ দিয়ে তাক করা হচ্ছে জেলায়।
তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, বিজেপি জঙ্গলমহলে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না বলে এনআইএ নামক তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ছত্রধর মাহাতো জানিয়েছেন, কোনও-না-কোনও ভাবে আমাকে জেলে ঢোকানোর উদ্দেশ্যেই এনআইএ’কে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।