কোনো সিদ্ধান্ত যেন পরবর্তী প্রজন্মকে পিছিয়ে না দেয়: ডঃ বাসব চৌধুরী

আমাদের ভারত, ৩১ মে: “তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতকের পঠন-পাঠন চালু হচ্ছে রাজ্যে।“ রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার জানান, এর পরই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নিল রাজ্য? এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ বাসব চৌধুরীর বক্তব্য, “কোনো সিদ্ধান্ত যেন পরবর্তী প্রজন্মকে পিছিয়ে না দেয়।”

এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষাসংস্থাগুলো প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের এগিয়ে রাখার চেষ্টায় ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরকমই একটি সংস্থা হেরিটেজ-এর পড়ুয়ারা বিভিন্ন পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করছে। বুধবার এর অধিকর্তা, ডঃ বাসব চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।

বাসববাবু বলেন, “রাজনীতি নয়, কারিকুলাম ও পেডাগজি নিয়ে কথা হোক। প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। যে হারে এই পরিবর্তন ঘটছে তাতে তালমেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। গোটা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, বাস ট্রেন বিমানের টিকিট কাটা, টিকিট পরিবর্তন করা, সব মোবাইলে হচ্ছে। সামনের দিনে আরো কত পরিবর্তন ঘটবে।

চ্যাট জি পি টি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এই যে সর্বব্যাপী পরিবর্তন, এটার বাইরে আমরা কেউ থাকতে পারব না। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আমরা কেউ হতে পারব না। একটা আইসোলেটেড শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে থাকলে আমাদের ছাত্ররা কি আগামী দিনে বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারবে? শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলকে এসব কথা ভাবতে হবে।

আজকের দিনে আইসোলেশন সম্ভব নয়। আগামীদিনে ইন্টারডিপেন্ডেন্স আরো বাড়বে। ভারতবর্ষের সব রাজ্যকে মোটামুটি এক ভাবে এগোতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের সর্বাঙ্গীন ভাল হবে। আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত যেন পরবর্তী প্রজন্মকে পিছিয়ে না দেয়।”

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্য সরকারের। সেই নীতি আদৌ কার্যকর করা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখতেই কমিটিও গঠন করেছিল রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতিতেও এই চার বছরের স্নাতক কোর্সের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে শিক্ষা দফতরের নয়া নিয়ম যে সেই নীতিকে মান্যতা দিয়ে নয়, তা দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে নয়া নীতির বিষয়টি জানানো হয়।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here