আমাদের ভারত, ১১ ডিসেম্বর: এবার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে মোদী সরকার কৃষক সংগঠনের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে। বলা যায় এবার কৃষকদের ধৈর্যের পরীক্ষা শুরু হলো। তবে আইনে সংশোধনে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে সেই রাস্তা এখনো খোলা আছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র মনে করছে নয়াকৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন ভারতবর্ষের দু’তিনটে রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে প্রায় সব বিরোধী দল সমর্থন করলেও গোটা দেশে তেমন প্রভাব পড়েনি। এমনকি খুব বেশি জায়গাতে রেল আটকাতেও পারেনি আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কৃষকদের কথা ভেবে সরকার আইনে বেশকিছু সংশোধনে রাজি হয়েছিল। কিন্তু আইন প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে জানালো কেন্দ্র।
দিল্লিতে সিএএ বিরোধী শাহিনবাগের আন্দোলন হয়েছিল ১০১ দিন রাস্তা আটকে। সেখানে দিল্লি সীমান্তে মাত্র দু’সপ্তাহ সড়ক অবরোধ চলছে কৃষকদের নেতৃত্বে বলে মনে করছেন পদ্মশিবিরের নেতারা। নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলিকে কেন্দ্র জানিয়েছিল সরকার নয়া আইনে বেশকিছু সংশোধন করতে রাজি। কিন্তু কৃষক নেতারা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে জানিয়ে দেন আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এবার মোদী সরকার পাল্টা বার্তা দিয়েছে, সরকার আইন প্রত্যাহার করবে না। কৃষিমন্ত্রীর নরেন্দ্র সিং তোমরও খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাংবাদিক বৈঠকে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, কোন আইন সম্পূর্ণ খারাপ হতে পারে না। কৃষক সংগঠনগুলি চাইলে সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চাইতে পারে। সরকার কথা বলতে প্রস্তুত। তবে সরকারের দিক থেকে কৃষক সংগঠনগুলিকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে এমন কোনো ইঙ্গিতও তারা দিতে চাননি। একই সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী এদিন করোনা ও শীতের কথা মাথায় রেখে কৃষক সংগঠনগুলিকে আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে কৃষক সংগঠনগুলি আগেই আন্দোলন আরো জোরদার করার ডাক দিয়েছেন। হারিয়ানা থেকে দিল্লি, গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি ঢোকার সড়কপথে অবরোধ করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জয়পুর থেকে দিল্লিতে ঢোকার সড়ক অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এছাড়াও ফের পাঞ্জাব হরিয়ানা রেললাইন অবরোধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা । আন্দোলনরত কৃষকদের বক্তব্য, পোটা, টাডা, মিসার মত আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাহলে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করলে সরকারের কি ক্ষতি হবে? এদিকে কৃষকদের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ১৫ জন মারা গেছেন এই আন্দোলন চলা কালীন। এখন দেখার এই আন্দোলন কোনদিকে এগোয়।