জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৬ জুলাই: সিলিকোসিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও করোনার ভয়ে সৎকারের জন্য কেউ এগিয়ে এলেন না। গতকাল সিলিকোসিস আক্রান্ত এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মঙ্গল মান্ডি। বয়স ২৮। নয়াগ্রাম ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী ডাহি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার বাবা কালিপদ মান্ডি একজন মৎস্যজীবী এবং তাদের পরিবারটি পাড়ার একমাত্র আদিবাসী পরিবার।
কর্মসংস্থানের জন্য গ্রামের অন্যান্যদের সাথে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামশেদপুরে সাদা পাথর গুঁড়ো করার কাজে গিয়েছিলেন মঙ্গল সেখানেই তিনি সিলিকোসিস আক্রান্ত হন। জঙ্গল মহলে বিশেষত নয়াগ্রাম সাঁকরাইলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে সাদা পাথর গুঁড়ো করার কাজে গিয়ে ইতিমধ্যে ওই ডাহি গ্রামে তিন জন মারা গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
প্রায় ছয় মাস শয্যাশায়ী থাকা মঙ্গল গতকাল একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা যান। মঙ্গলের বাবা সৎকারের জন্য আত্মীয়দের খবর দিলে করোনা আবহে পাশে কাউকে পাননি। মৃত পুত্রকে নিয়ে বৃদ্ধ বাবা ও মা প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য না পেয়ে নয়াগ্রাম থানার সামনে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। এই সময় এগিয়ে আসেন দক্ষিণ বঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি গোপাল দন্ডপাট। একজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ট্রলি রিক্সায় মৃতদেহ তুলে সন্ধ্যা নাগাদ সুবর্ণরেখা নদীর চরে পৌঁছায়। বৃদ্ধ বাবা মা ও এক ভাই এবং সমাজ কর্মী গোপাল নদীর চরে মৃতের সমাধি দেন।