আনন্দে উৎসবে মেতে ওঠার সময় এখন নয় : দেব

কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ আগস্ট: একদিকে প্রধানমন্ত্রী যখন রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করছেন আর বিজেপি একে নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করছেন তখন এনিয়ে দেশের শাসক দলকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। পরে তিনি জেলা শাসক রশ্মি কমলের সঙ্গে ঘাটালের আগাম বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, এখন মন্দির নিয়ে মাতামাতি করার সময় নয়। এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে সকলকে চলতে হচ্ছে। এখন কোনো কিছু নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। উদাহরণ দিয়ে দেব বলেন, কিছুদিন আগে ঘাটাল কৃষি ও সমবায় ব্যাঙ্কের নতুন পরিচালন সমিতি গঠন হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিচালক বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘাটালের সাংসদকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। 

করোনা আবহে একদিকে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো, র‍্যাপিড এন্টিজেন টেষ্টের সংখ্যা বাড়ানো, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা, মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে বলা সহ বিভিন্ন কাজ প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাই তিনি সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। অথচ দেশের শাসক দলের রাম মন্দির নিয়ে এই  মাতামাতি মানায় না। মানুষ বিপন্ন। আরো বেশি হাসপাতালের শয্যা চাই, ভেন্টিলেটর চাই, অক্সিমিটার চাই। এখনই মন্দির চাই না। 
তাঁর কথায়,’একটা বাচ্চা ছেলেকেও যদি জিজ্ঞেস করো তোমার কি চাই? মন্দির না কোভিদের ভ্যাকসিন?  সেই বাচ্চাটাও উত্তর দেবে এখন মন্দির চাই না।’  
বিরোধী দলের সাংসদ হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শ্রদ্ধা করেন তবুও করোনা মহামারীর সময়ে তাঁর মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন মেনে নিতে পারছেন না।

দেব জানান, তাঁর এলাকায় সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। এখনো বাংলাদেশে কিছু আটকে রয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করেছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *