
পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৪ ডিসেম্বর: এখন আর মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনও কাজ হবে না, অনেক দেরি হয়ে গেছে। সাংসদ হওয়ার পর ১৩ বছর সময় লাগল মানুষের বাড়ি যেতে। আজ এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচির সমালোচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রতিদিনের মতো রবিবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে প্রাতঃভ্রমণ ও চা–চক্রে যোগ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পাশপাশি মাঠে খোস মেজাজে ফুটবল খেললেন। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’কে।
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথি যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নেমে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করেন। গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি যান, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীরা তাকে অভিযোগ জানায়। তারা কিছুই পাচ্ছেন না। আমফানের ক্ষতিপুরণের টাকা পাননি, ঘর তৈরির টাকা পাচ্ছেন না। ভাঙ্গা ঘরে তাদের থাকতে হচ্ছে। গরিবের রেশন কার্ড পাননি। এই প্রসঙ্গে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি কত বছরের এমপি? ১৩ বছর লাগলো উনার মানুষের বাড়ি পৌঁছতে। কত বয়স হলে লোকের বুদ্ধি হয়? যখন জঙ্গলমহলের লোক চোখে চোখ রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে প্রশ্ন করছে, আমরা কিছুই পাইনি, তখন লোকের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। অনেক দেরি হয়ে গেছে, এখন লাভ নেই এইসব করে। কেন আজকে লোকের বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে।”
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনার তিন জনের মৃত্যু এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা, বন্দুক উদ্ধার প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “আপনার নেতারা বাড়িতে বোমা, বন্ধুক মজুত করবে। রোজ বিস্ফোরণ হচ্ছে। মরছে ওদেরই লোক। নিজেরা মারামারি করে মরছে নয়তো বোমা ফেটে মরছে। সারা বাংলাকে কেন বোমা, বন্ধুক আর বারুদের স্তুপে পরিণত করা হয়েছে? আসলে এভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন জিততে চাইছেন। উনি আবার বলছেন শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। এইসব গল্প বলে লোককে খুন করা হচ্ছে। এত লোক মারা যাচ্ছে তার দায় কে নেবে?”