প্রেমে বাধা, অপমাণ, হুমকি, নিজেকে শেষ করে দিল কলেজ ছাত্রী

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৫ জুন: প্রেমে বাধা ও বাড়ির সদস্যদের অপমাণ,অবশেষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মৃতার নাম প্রীতি ঘোষ (২০)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা হাবরা থানার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বামিহাটি গ্রামে।

অভিযোগ, গতকাল রাতেই স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রীতির বাবার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ওই যুবকের কাকা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ দাসের। ওই যুবকের কাকা অনুপবাবু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য প্রীতি ঘোষের পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি তার ভাইপোর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্যও বলে প্রীতিকে। এতেই ভেঙ্গে পড়েন ওই ছাত্রী। শুক্রবার ভোরে লজ্জায় ও আতঙ্কে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। শুক্রবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের ভাইপো অতনু দাস বিএ তৃতীয় বর্ষে ছাত্র প্রীতির সঙ্গে একই কলেজে পড়তো। প্রীতির সঙ্গে বছর খানেক ধরে সম্পর্ক রয়েছে ওই যুবকের। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যায় এবং সেই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি অতনুর কাকা এলাকার প্রভাবশালী নেতা অনুপ দাস। এ নিয়ে প্রীতিকে একাধিকবার তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তার ভাইপোকে গ্রাম থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন অনুপবাবু। পাশাপাশি একাধিকবার প্রীতির পরিবারকে হুমকিও দেন তিনি। এদিন রাতেও প্রীতির বাবাকে চরম অপমাণ করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। আর বাবার অপমাণে লজ্জায়, আতঙ্কে ভেঙ্গে পড়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় প্রীতি। ভোররাতে গলায় দড়ি দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন। গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে মৃতদেহ ঘিরে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

ঘটনা স্থলে যায় হাবড়া থানা পুলিশ। প্রীতির বাবা শ্যামল ঘোষের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে এভাবে চলে যেতে হল তারা অনুপ দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাবেন ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *