সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ২০ ডিসেম্বর: দেশের ও রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক। অর্থনীতিতে আত্ম নির্ভর হওয়ার পথে এগোল ভারতবর্ষ। আজ থেকে দেশের অষ্টম তৈল উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথ চলা শুরু করল অশোক নগর তৈল ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র। অশোক নগরে এসে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আজ অশোক নগরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সাড়েচার একর জমিতে দেশের অষ্টম তৈল ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠল অশোক নগরে। আরও ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এখানে অত্যন্ত উন্নত মানের খনিজ তেল ও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ইতিমধ্যেই হলদিয়াতে এখানকার খনিজ তেল পাঠানো হয়েছে। নতুন এই তেল ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র চালু হওয়ায় একদিকে দেশের, রাজ্যের অর্থনীতি উন্নত হবে, একই সঙ্গে কর্ম সংস্থান তৈরী হবে। সবথেকে বড় বিষয় তেল উৎপাদনে আত্ম নির্ভর হবে ভারতবর্ষ।
রাজ্যের মুকুটেুও অশোকনগরের গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রের মাধ্যমে জুটলো নতুন পালক। একই সঙ্গে ইতিহাসের পাতাতেও উঠল অশোকনগরের নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার প্রকল্পের সূচনা করেন। চলতি মাসের ৫ তারিখে থেকে অশোকনগরে এই কেন্দ্র থেকে ট্রাকভর্তি তেল হলদিয়ার শোধনাগারে পাঠানো শুরু হয়েছিল।
এদিন অনুষ্ঠানে এসে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানান, এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যে ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। অনেক বছর আগেই জানা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও তেলের ভান্ডার রয়েছে। কয়েক বছরের দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সাফল্য পেল ওএনজিসি। রাজ্যে এই প্রথম এক জায়গা থেকেই তেল ও গ্যাস পাওয়া গেল যা খুবই উন্নত মানের এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, ৭০ বছর ধরে ভারত সরকার তেলের খোঁজ চালাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৯8৯ সালে থেকে ভারত সরকার খোঁজা শুরু করে। এরপর ষাটের দশক থেকে ওএনজিসি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তেলের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু বড় কোনও সাফল্য দেখতে পায়নি ভারত সরকার। মোদী সরকারের নেতৃত্বে ২০১8 সালে সরকার আরও জোর দিতে শুরু করে খনিজ তেলের ওপর। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২8 পরগনা জেলার বাইগাছি এলাকায় শুরু হয় খননের কাজ।
ওএনজিসির তরফে একটি তথ্যচিত্র এর মাধ্যমে প্রজেক্ট এর কাজ কর্ম দেখানো হয়। প্রাকৃতিক এই সম্পদের মাধ্যমেই তৈরি হবে ‘সোনার বাংলা’ এমনকি বক্তব্য শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেল ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি।