“প্রেসক্রিপশন না থাকুক, যে চাইবে তারই টেস্ট করুন” ‘অন ডিমান্ড’ করোনা পরীক্ষার নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

আমাদের ভারত, ৫ সেপ্টেম্বর: দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম হলেও এই ভাইরাসে প্রাণহানি যে হচ্ছে না তা নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির জন্য নয় নির্দেশিকা জারি করল আইসিএমআর। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রেসক্রিপশন না থাকুক কেউ চাইলেই তার করোনা পরীক্ষা করতে হবে।

আইসিএমআরের নতুন নির্দেশিকা বলা হয়েছে চাহিদা অনুযায়ী করাতে হবে করোনার নমুনা পরীক্ষা।সে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির কাছে প্রেসক্রিপশন না থাকলেও চলবে। এছাড়াও যারা কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দা তাদের ক্ষেত্রে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি সেখানকার বাসিন্দাদের এই এই নিয়ম মানতেই হবে।শহরের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যদিও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা সংক্রমনের প্রমাণ না পাওয়া যায় আর উপসর্গ যদি দেখা যায় তাহলে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এছাড়াও আইসিএমআর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যারা ভিন রাজ্য কিংবা বিদেশে যাতায়াত করছেন তাদের করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। এছাড়াও বাইরে থেকে আসা কোনো ব্যাক্তির সংস্পর্শে এসে কোনো প্রবীন অসুস্থ হন তাহলে ৫-১০ দিনের মধ্যে তার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সদ্যজাতের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলেই তৎক্ষণাৎ করতে হবে পরীক্ষা। এছাড়াও সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন ব্যাক্তি বা যার উপসর্গ নেই কিন্তু অস্ত্রপোচার হয়েছে তাদের কোভিড টেস্ট করতে হবে।

এছাড়াও সমস্ত গর্ভবতী মহিলা যারা প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ মোটের উপর চাহিদা অনুযায়ী কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার অভাবে যাতে জরুরী কোন প্রক্রিয়া পরে না থাকে সেদিকেও রাজ্যগুলিকে নজর রাখার কথা বলেছে আইসিএমআর। যেমন কোন প্রসূতির চিকিৎসার বন্দোবস্ত যেনো কোভিড পরীক্ষার জন্য আটকে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আরটিপিসিআরে মূলত নিশ্চিতভাবে জানা যায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। তবে করোনা মোকাবিলার একমাত্র অস্ত্র হিসেবে নমুনা পরীক্ষা করার কথাই বলা হয়েছে। তাই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দুদিনের দৈনিক প্রায় ১২ লাখ টেস্টিং হয়েছে সারাদেশে। এখনো পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৭৭ লাখ করোনা টেস্ট হয়েছে দেশের ১৬৪৭টি ল্যাবরেটরীতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *