কেশপুরের সভায় যাওয়ার পথে মাতকাতপুর গ্রামে নেমে জনসংযোগ অভিষেকের, গ্রামবাসীদের সমস্যা শুনে ফোন সেচমন্ত্রীকে

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি: আজ কেশপুরের সভায় যাওয়ার পথে আচমকা পাশের গ্রামে নেমে পড়লেন তৃণমূল-কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভার অন্তর্গত মাতকাতপুর গ্রামে ঢুকে জোর দেন জনসংযোগে। শোনেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা।

আবাস যোজনা থেকে পাট্টা, জমি সমস্যা থেকে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে পঠনপাঠনের সমস্যা, সমস্ত কথাই অভিষেকের কাছে এদিন খুলে বলতে দেখা যায় গ্রামের বাসিন্দাদের। একইসঙ্গে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কাছে অভিযোগ জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামে আবাস যোজনার কাজের সার্ভে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। নিজেদের নামে জমি না থাকায় পাচ্ছেন না ঘর, এ কথাও এদিন জানাতে দেখা যায় অনেককে। একইসঙ্গে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে খাওয়া-দাওয়া মিললেও পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অনেক অভিভাবক। 

সমস্ত অভিযোগই এদিন মন দিয়ে শোনেন অভিষেক। এরপরই সরাসরি ফোন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। সূত্রের খবর, এই গ্রামে বাস প্রায় ৯২ থেকে ৯৩টি পরিবারের। তবে যে জমিগুলির উপর ওই গ্রাম সেগুলি আদপে সেচ দফতরের অধীনে। গ্রামবাসীদের দাবি, জমির পাট্টার জন্য তারা এর আগে একাধিক জায়গায় আবেদন-নিবেদন করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ কথা শোনামাত্রই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে কল করতে দেখা যায় অভিষেককে। গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা জানান ফোনেই। ফোনেই তিনি বলেন, “এদের যে জমি রয়েছে সেটা সেচ দফতরের জমি। বহু দিন ধরে এরা পাট্টার জন্য আবেদন করছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তুমি যেহেতু দায়িত্বে আছ তাই তোমাকে জানিয়ে রাখলাম। নিয়ম মেনে যতটা করা যায় একটু দেখো। পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পরিবারগুলিকে যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় সেটা যত দ্রুত সম্ভব দেখো। আবাস যোজনায় ওদের নাম উঠছে না। কারণ নিজেদের নামে জমিই নেই। এটা হয়ে গেলে সেই কাজে সুবিধা হবে।” ফোনেই অভিষেকের সমস্ত কথা মন দিয়ে শোনেন পার্থবাবু। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথাও বলেন।  

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here