শহিদ দিবসের রাতে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, বিরাটিতে পার্টি অফিসের সামনে ৫ রাউন্ড গুলি করে দুষ্কৃতিরা

প্রতীতি ঘোষ, আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২২ জুলাই:
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে খুন হলেন এক দলীয় কর্মী। বুধবার রাতে বিরাটির বণিক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিত দত্ত (৩৮)। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পার্টি অফিসের সামনেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রের খবর, এলাকায় করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কাজ চলছিল উত্তর দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়। সেই সমস্ত কাজ শেষ করে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন শুভ্রজিত দত্ত। তখনই দুষ্কৃতীরা বাইক করে এসে তাকে গুলি তাঁকে ঘিরে ধরে এবং খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। তাঁর মাথায় ও বুক গুলি করে দুষ্কৃতীরা।

এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিমতা থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ব্যারাকপুর ও বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট পুলিশ বাহিনী। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে উত্তর দমদম পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি বিধান বিশ্বাস জানান, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকাকে অশান্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তারা তো বলবেই। কিন্তু আমাদের কি সেই ক্ষমতা আছে? ভোটের পর থেকে তো আমাদের সব কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এখনও অনেকে ঘরছাড়। ওরা জিতে ক্ষমতায় এসেছে, এখন নিজেদের মধ্যে তোলাবাজি এবং ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে খনোখুনি করছে। সব বিধানসভা এলাকাতেই গুলি, বোমা চলছে। কামারহাটি, টিটাগড়, পানিহাটি, খড়দা সব জাগাতেই হয়েছে। নবতম সংযোজন উত্তর দমদম। আসলে ক্রিমিনালদের আশ্রয় দিলে তার পরিনতি এরকমই হয়। ভোটের পর থেকে বিজেপির বহু কর্মীকে মারধর করেছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর একজনকেও গ্রেফতার করেনি। এখন তৃণমূল নিজেরা নিজেদের মারছে। আমি আশা করব, পুলিশ দলমত নির্বিশেষে সব অপ্রাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *