আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি:প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দিল্লি পুলিশকেই। বুধবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় সভা-সমিতি এবং মিছিলের অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়ার নিয়ে আদালতের রায় দেওয়া ঠিক নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে পুলিশের এক্তিয়ার ভুক্ত। পুলিশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কোন রায় শোনাবো না। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার ও জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল আটকাতে কেন্দ্র সরকারের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে এটি পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। এক্ষেত্রে কোনো রায় শোনাবে না আদালত। সোমবারেও এই একই কথা বলেছিল আদালত।
এদিকে বুধবার দশম বারের জন্য কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলনকারী কৃষক প্রতিনিধিরা। কৃষকরা এখনো পর্যন্ত তিনটি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতে অনড় রয়েছেন। আর সেই দাবি নিয়ে ২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে আদালতে জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু কৃষকদের তরফে আগেই জানানো হয়েছে তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করবেন এবং রাজধানীতে হওয়া কুচকাওয়াজে কোনরকম বিঘ্ন ঘটাবেন না। তাদের মিছিল রাজধানীর চারিপাশের রাস্তা বরাবর হবে।
বুধবার আদালতে কৃষকদের হয়ে সাওয়াল করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তিনি বলেন কৃষরাও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করবেন। ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করলেও শান্তি ভঙ্গ করবেন না কোনোভাবেই। এর জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘খেয়াল রাখুন দিল্লির মানুষের শান্তি ভঙ্গ যেন না হয়। আদালত গোটা ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল এক্ষেত্রে যুক্তি দেন কমপক্ষে পাঁচ হাজার ট্রাক্টর রাস্তায় নামতে চলেছে। ট্রাক্টরে চেপে রাজধানী দাপিয়ে বেড়াবেন সকলে। সেখান থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে। কিন্তু প্রশান্ত ভুষণের শান্তিপূর্ণ মিছিলের আশ্বাস ভরসা পাচ্ছেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি।