
আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২১ জুলাই: আবারও কী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বুনো হাতির? এমনই জল্পনা আলিপুরদুয়ারের রামঝোড়া চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি বনবিভাগের অধীন দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা মঙ্গলবার চা-বাগানের ফ্যাক্টারির থেকে মাত্র ৫০মিটার দূরত্বে একটি পুর্নবয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, রহস্যজনকভাবে মৃত হাতিটির বয়স ২৫-৩০বছর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মঙ্গলবার মাঝরাতের পর হাতিটির মৃত্যু হয়। ফাঁকা এলাকায় পড়েছিল দেহটি। ঘটনাস্থলেই রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের জলের পাম্প হাউস। প্রাথমিক তদন্তের পর বনদফতরের কর্তারা নিশ্চিত হন তড়িদাহত হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। এ–ও দেখা যায়, হাতির আক্রমণ থেকে ঘর বাঁচাতে, ফাঁকা মাঠেই ফেলে রাখা হয়েছে খোলা তার। কিছু তারও উদ্ধার করে বনদফতর। তবে নৃশংস কাজটি যে বা যারাই করে থাকুক তারা রাতের অন্ধকারেই বিদ্যুৎ হুকিং করে করেছে। এদিন উদ্ধার হওয়া মৃত হাতিটির যদিও শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। তবে গোটা ঘটনায় স্থানীয়রা মুখে কুলুপ এটেছেন।
জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও মৃদুল জয়সওয়াল বলেন, “প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর আমরা জানতে পেরেছি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েই মারা গেছে হাতিটি। অভিযুক্তদের কিছু কিছু সন্ধান মিলেছে।ভঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।অপরাধীদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনে মামলা হবে।”
এলাকাটি পরিস্কার হাতির করিডোরে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে চা বাগানের ভূমিকা নিয়েও। প্রকৃতি প্রেমিকদের একাংশ বলেন, যেভাবে বিদ্যুতের বেড়া দেওয়া চলছে তাতে আজকের ঘটনার মত এমন দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। এতে আগামী দিনে আরও হাতির মৃত্যু হতে পারে।উল্লেখ্য, এদিনের ঘটনাটি ধরলে গত দেড় মাসে ৬টি হাতির মৃত্যু হল আলিপুরদুয়ারে।
৯ জুন হাতিপোতায় একটি মাদি হাতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
১৬ জুন রায়ডাকে একটি মাদি হাতিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা হয়। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন।
২৫ জুন জলদাপাড়া লাগোয়া বনবস্তিতে কাঠাল খেতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একটি হাতির।
৯ জুলাই রাজাভাতখাওয়াতে ২২ মাইল গারো বস্তি এলাকায় মৃত্যু হয় একটি হাতির।
গত পরশু ১৯শে জুলাই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে শাবক হাতির মৃত্যু হয়েছিল জলদাপাড়ায়।