গোপনাঙ্গে লবণ ও লঙ্কা গুড়ো দিয়ে লকাপে অত্যাচার, জেল হেফাজতে মৃত্যু এক ব্যক্তির

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৩০ জানুয়ারি:
জোড়া খুনের ঘটনায় সন্দেহ জনকভাবে তিন গ্রামবাসীকেগ্রেফতার করে বনগাঁর থানার পুলিশ। আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ওই তিন গ্রামবাসীকে।এরপর পুলিশ লকাপের মধ্যেই তাদের গোপন অঙ্গে 
লঙ্কার গুঁড়ো ও লবন ঢুকিয়ে দিয়ে অত্যাচার করে বনগাঁ 
থানার এসআই পরিতোষ হালদার 
সহ অন্যান্য এসআইরা। আর তার জেরেই জেল হেফাজতেই মৃত্যু হয় ভীম 
মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসীর। 

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার 
সকালে উত্তর ২৪ পরগণার  বনগাঁ থানার 
মনিগ্রাম এলাকায় জোড়া খুনের 
ঘটনায় তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃতের বাড়িতে পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি চলে।বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়লো পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, গত ১৮ডিসেম্বর 
বনগাঁর মনিগ্রাম এলাকায়
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তপতী মন্ডল ও প্রসেনজিত বৈদ্যের।  এই ঘটনায় জড়িত থাকার
অভিযোগে মৃত তপতী দেবীর ভাই ভীম মন্ডল এবং আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গত সোমবার দমদম সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু হয় ভীম মন্ডলের। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ভীমের বাড়িতে পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে 
গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকেরা। 

ভীম মণ্ডলের স্ত্রীর অভিযোগ, বনগাঁ থানার এসআই পরিতোষ হালদার 
বিনা দোষে তার স্বামী ভীম মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে এবং থানার মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকেশারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। তাদের আরও দাবি, মৃত্যুর আগে
ভীম অত্যাচারের কথা প্রতিবেশী সহ তার 
পরিবারের লোকদের বলেছে। এরপরই পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ।  বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে মারধর করা হয়। কোনোক্রমে এসআই পরিতোষ হালদা
পুলিশের গাড়িতে করে এলাকা ছাড়েন। ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here