আমাদের ভারত, হাওড়া, ৮ জানুয়ারি: দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর দুটি ডাকাতি হয়েছিল শ্যামপুরে। লুট হয়েছিল সোনার অলংকারসহ লক্ষাধিক টাকা। এরপরই তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল শ্যামপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের টি আই প্যারেডের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে। পুলিশের দাবি, শ্যামপুরে পরপর যে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে দুটি ঘটনার সাথে এই তিন দুষ্কৃতী জড়িত আছে।
৩ দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, ধৃতদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত ২২ ডিসেম্বর রাতে ৬ দুষ্কৃতী হানা দেয় শ্যামপুরের নবগ্রামে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক কালিপদ দত্তের বাড়িতে। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে কালিপদবাবুর বুকে ভোজালি ঠেকিয়ে নগদ টাকা লুট করে, পরে পাশের ঘরে থাকা স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে আলমারি ভেঙ্গে সোনার অলংকার ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ৬ দুষ্কৃতী হানা দেয় শ্যামপুরের রসুলপুরে পানচাষী সরোজ দাসের বাড়িতে। দুষ্কৃতীরা বাড়ির লোহার গ্রিলের গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সরোজবাবুর বুকে ভোজালি ঠেকিয়ে নগদ টাকা লুট করে, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের গায়ের সোনার অলংকার খুলে নেয়। আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা সোনার অলংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরে পুলিশ জোরদার অভিযানে নামে। বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতীরা পুলিশের জালে ধরা পড়ে।