
নীল বনিক, আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: এ মাসেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন, তার আগে দিলীপ ঘোষের বিরোধীপক্ষ মাঠে নেমে পড়ল। তারা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের নাম নিয়ে দিল্লিতে দরবার শুরু করেছে বলে খবর।
বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দিলীপ ঘোষের বিরোধীপক্ষ। তারা দিলীপ ঘোষ’কে সরিয়ে নিজেদের পছন্দমত সভাপতি বসাতে তোড়জোড় শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা সুভাষ সরকারের পক্ষে দিল্লিতে সওয়াল শুরু করেছে। এর আগে আশিস সরকার নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতি করা হচ্ছে বলে বাজারে রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার সুভাষ সরকারের নাম নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির একটি মহলে। কয়েকদিনের মধ্যেই দলের রাজ্যসভাপতির নাম ঘোষনা করবে দিল্লি। দিলীপ ঘোষের বদলে সুভাষ সরকারকে সভাপতি করতে কয়েকজন বিজেপি নেতা দিল্লিতে দরবারও শুরু করেছেন।
গ্রামবাংলার রাজনীতিতে বর্তমান সভাপতি দিলীপ ঘোষের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনও নেতাই নেই যাকে সভাপতি করা যায়। তবে, শহরের শিক্ষিত মানুষের মধ্যে দিলীপ ঘোষ তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এছাড়া বেশকিছু ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের আলটপকা মন্তব্য দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়। দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্য, নেটদুনিয়ায় ট্রোল হয়েছিল। এবার এই বিষয়গুলিই কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরছে দিলীপ ঘোষের বিরোধী পক্ষ।
দিল্লির একাংশ চাইছেন শহরের মধ্যবিত্তের আস্থা অর্জন করতে পারে এমন একজনকে রাজ্য সভাপতির পদে বসানো হোক। যার আবার দলের হয়ে এরাজ্যে কাজ করার মতো সাংগঠনিক ক্ষমতাও থাকবে। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষের বিরোধী পক্ষ ডা. সুভাষ সরকারকে তুলে ধরতে চাইছে। তাদের বক্তব্য, তিনি রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি পদে ছিলেন। বাংলায় তাঁর সাংগঠনিক কাজ করার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাঁকুড়ার সাংসদও তিনি। রাজ্যের চিকিৎসক মহলে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। একেবারেই কম কথার মানুষ এই চিকিৎসক ভালো বক্তৃতাও করতে পারেন। সেভাবে তার রাজনৈতিক জীবনে কোনও কালির দাগও নেই। সংঘের ঘনিষ্ঠও তিনি।
কয়েকদিন ধরেই ডা. সুভাষ সরকারেকে সভাপতি পদে বসাতে কয়েকজন নেতা দিল্লিতে তদবির করছেন। তবে সবকিছুর পরেও দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষই থাকছেন পরবর্তী সভাপতি।
এর আগেও একবার ডঃ সুভাষ সরকার কে সভাপতি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তিনি সাংসদ নির্বাচিত হননি। সেবার অমিত শাহ বসেছিলেন সুভাষ সরকারের সঙ্গে, কিন্তু সেই ইন্টারভিউয়ে তিনি পাশ করেননি বলে খবর। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনি ভালো মানুষ কিন্তু রাজ্য সভাপতি হওয়ার পক্ষে যোগ্য নন।