আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ জানুয়ারি: পুলিশকে ফোন করেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষই ওভারলোড লরি আটকে অতিরিক্ত বালি নামাতে বাধ্য করল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির বীরভূম জেলা প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। যে কাজ প্রশাসনের করার কথা তাই করে দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে রাস্তায় নেমে ওভারলোড লরি আটকালেন বিজেপির বীরভূম জেলা প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। রবিবার দুপুরের দিকে তিনি ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর মোড়ে পর পর আটটি গাড়ি আটকে দেন। এরপর প্রত্যেক গাড়ি থেকে ওভারলোড বালি নামিয়ে তবে ছাড়েন।
দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “এদিন সকালে একটি ওভারলোড লরির সামনের চাকা ফেটে যায় কোটাসুর মোড়ে। এতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াই। পুলিশ সেই গাড়িটিকে আটক না করে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এতেই মানুষ ক্ষুব্ধ হয়। সে সময় স্কুলের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। স্থানীয়দের আন্দোলন দেখে দাঁড়িয়ে পড়ি। এরপর ময়ূরেশ্বর থানায় ফোন করি। কিন্তু ওসি না আসায় বাধ্য হয়ে আমরা আর কয়েকটি ওভারলোড লরি আটকায়। তাদের অতিরিক্ত বালি নামাতে বাধ্য করি। কারণ ওভারলোড লরি যাতায়াত করার ফলে সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু ওভারলোড বন্ধে পুলিশের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আমরা কয়েক দিন দেখব। যদি পুলিশ প্রশাসন ওভারলোড বন্ধ করতে না পারে তাহলে আমরা পথে নামব”।
রামপুরহাট মহকুমা এআরটিও দেবাশিস ঘোষ বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালায়। তারপরও কোথাও অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে”।