অন্যায় কাজে মদত না দেওয়ায় রামপুরহাটে পঞ্চায়েত সচিবকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ১৩ জানুয়ারি: দাবি মতো নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টেন্ডার ফর্ম বিক্রি না করায় পঞ্চায়েতের মধ্যেই সচিবকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাকে মারধর করে পঞ্চায়েতের মধ্যেই তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়। অভিযোগ বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও পুলিশ যেতে গড়িমসি করি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার পর পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত সচিবকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পঞ্চায়েত সচিবের নাম ইন্দ্রজিৎ ভাণ্ডারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পদে রয়েছেন। ওই পঞ্চায়েতে একটি টেন্ডারের ফর্ম বিক্রি নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। আহত ইন্দ্রজিৎ ভাণ্ডারী বলেন, “একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কয়েকদিন আগে। ওই টেন্ডারের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৮ জানুয়ারি। ওই তারিখের মধ্যে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। ফলে ফর্ম বিক্রির শেষ দিন ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধান কোনও ফর্ম বিক্রি করতে পারেননি। বুধবার অফিসে এসে সেই ফর্ম বিক্রি করার জন্য চাপ দেওয়া হয় আমাকে। আমি অন্যায় দাবি মেনে না নেওয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মফিজুদ্দিন শেখ, পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আলিম শেখ, ঠিকাদার কলিমুদ্দিন শেখ সহ কয়েকজন আমাকে চেয়ারের মধ্যেই প্রচণ্ড মারধর করে। মাথায় ও বুকে প্রচন্ড মারে তারা। আমার মাথা এবং বুকের আঘাত গুরুতর। সরকারিভাবে কোনও দিক থেকে সাহায্য পাইনি।

অফিসের নির্মাণ সহায়ক রঞ্জিত মণ্ডল, নির্বাহী সহায়ক সিদ্ধার্থ সাহা, জি আর এস সুব্রত আলিপাত্ররা আমাকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তারাই সর্বক্ষণ আমার সঙ্গে ছিলেন”। মফিজুদ্দিন শেখকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “ওসব পঞ্চায়েতের কর্মীদের মধ্যে মারামারি”। এরপরেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তারপর আর ফোন ধরেননি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here