জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৮ জুলাই:
ভার্চুয়াল সভায় ঝাড়গ্রাম জেলায় পর্যবেক্ষকের পদ তুলে দিতেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা সমান্তরাল জনসংযোগ শুরু করেছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর শুভেন্দু অধিকারীকে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সহ পর্যবেক্ষক হিসেবে তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলে তিনি জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু তখন থেকেই পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম থেকে যায় এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এককভাবে জেলার বিশেষ দায়িত্ব তাকে দেওয়া হবে এরকমই জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। একুশে জুলাই ভার্চুয়াল সভার পর ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষকের পদটি তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে জঙ্গলমহল থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিষয়টি তার অনুগামীরা একেবারেই মেনে নিতে না পেরে বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে সমান্তরাল জনসংযোগ তৈরীতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানাগেছে।
এবছর জামবনি ব্লকের গিধনী এলোকেশী হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৫১ নম্বর পাওয়া ছাত্রী মন্দিরা মুর্মুর বাড়িতে গিয়ে তার হাতে শুভেন্দুবাবুর অনুগামী শান্তনু মাহাতো, সৌমেন আচার্য, সুমন দাস, স্নেহাশীষ ভকতরা শুভেন্দুবাবুর পাঠানো উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের সমস্ত পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়েছেন। শুভেন্দুবাবুর প্রতিনিধিদলটির প্রত্যেকের গলায় তার ছবি ঝোলানো ছিল। তারা জানিয়েছেন, জঙ্গলমহলে শুভেন্দুদা এই ধরনের সামাজিক কাজকর্ম বহু আগে থেকেই করছেন বলে জঙ্গলমহলের মানুষ আজও তার উপর ভরসা রাখেন।
ভার্চুয়াল সভার পর ঘোষিত ঝাড়গ্রাম জেলার নতুন তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু অবশ্য জানিয়েছেন, মন্দিরা মুরমুকে শুভেন্দু বাবুর পাঠ্যপুস্তক দেওয়ার খবর তিনি জানেন না।