দুর্নীতি ধরে ফেলায় প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা, প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৪ ডিসেম্বর: অনিয়মিত হাজিরা ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ায় হেনস্থা করা হল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানার সদাশিবপুর বিশোড় হাইস্কুলে।

উচ্চমাধ্যমিক ওই স্কুলে ১৫০০ ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া পার্শ্বশিক্ষক ৪ জন এবং আমন্ত্রিত শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগদান করেন শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, দশমাস হয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষককে স্কুলের চার্জ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। উল্টে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির সভাপতি।

শান্তশ্রীবাবু বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বেশ কিছু দুর্নীতি নজরে আসে। প্রথমত, মিড ডে মিল, দ্বিতীয় হচ্ছে কন্যাশ্রী। এছাড়া স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনিয়মিত যাতায়াত, কেউ স্কুলে না এসে পরের দিন সই করতেন। এই সমস্ত দুর্নীতি এবং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। কখনও আমাকে
আরএসএসের লোক বলে গ্রামবাসীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। সোমবার কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিষয়ে জানতে এলে তাদের মারধর করা হয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও হেনস্থা করা হয়। সেই খবর পেয়ে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখায়”। এদিন সহস্রাধিক অভিভাবক এসে স্কুলের সামনে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনার দেখা দেয়। খবর পেয়ে পাইকর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমি এখনও পদত্যাগ করেনি। স্কুলের চার্জও বুঝে পায়নি”।

গ্রামের বাসিন্দা সদেরুল খান, আলমগীর হোসেনরা বলেন, “নতুন প্রধান শিক্ষক এসে স্কুলের নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়েছেন। অনেক দুর্নীতি ও অনিয়ম রুখে দিয়েছেন। যারা প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে”।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here