নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ১ আগস্ট: রাজ্য বিজেপিতে মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখনও দল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে পারেনি। এই অবস্থায় রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে দিল্লির কাছে প্রোজেক্ট করে এগোতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ বিরোধীরা।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। সাংগঠনিক আলোচনা করতে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, মুকুল রায় সহ রাজ্য নেতারা দিল্লি গিয়েছিলেন। তাতেও বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল আটকানো সম্ভব হয়নি। বরং দিল্লি থেকে ফিরে ফের নতুন অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ বিরোধীরা স্বপন দাশগুপ্ত’কে প্রোজেক্ট করে দিল্লিতে দরবার করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর,গত শুক্রবারের পর বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের সঙ্গে সল্টলেকে নিজের বাড়িতে বসে একাধিক বার ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্য মুকুল রায়। সেই বৈঠকে রাজ্য বিজেপির আরও জনাতিনেক নেতা ছিলেন। স্বপন দাশগুপ্তের উপর আস্থা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র–ও। ২০২১ এর লড়াইয়ে স্বপন দাশগুপ্ত ও মুকুল রায়ের জুটি হলে ভালো ফল হবে –দিল্লিকে এইকথা বোঝানোর চেষ্টা চলছে।
স্বপন দাশগুপ্ত নিজে প্রাক্তন সাংবাদিক। বাংলার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাঁর অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। রয়েছে তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। বক্তব্য রাখার সময় ভাষার ব্যবহারেও পারদর্শী। তাই বাংলার নাগরিক সমাজের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য হবেন বলে দিল্লির নেতেদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তবে তাঁর সাংগঠনিক নেতৃত্ব দেবার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই। দিল্লির এমন যুক্তিকে ভাঙতে সামনে স্বপন, পিছনে মুকুল তত্ত্বকে তুলে ধরছেন রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ বিরোধী গোষ্ঠী।
যদিও এই তত্ব নিয়ে দিল্লি এখনও সিদ্ধান্তে আসেনি। দিল্লি সব পক্ষের কথা শুনে জল মাপছে। কারন ২০২১ এর লড়াই। আর এই লড়াই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দীর্ঘ ন’বছর রাজত্বের পর সমর্থনে ভাটা আসে তা মানছে দিল্লি। তাই বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক শক্তিকে হেলাফেলা করার ক্ষমতা নেই খোদ মোদী, অমিত শাহর জুটি।