স্থায়ীকরণ পুনর্নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের

আমাদের ভারত, বর্ধমান, ২২ সেপ্টেম্বর: বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার বর্ধমানের কাছারি রোডে মিছিল করে জমায়েত করেন। সেখান থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তারা তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করেন।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান জেলায় হাজার খানেক আংশিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পাঠদানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো তারা ক্লাসে পঠন পাঠনের  সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাদের নামমাত্র বেতন দেওয়া হয়।জেলায় বিভিন্ন স্কুলে যেসব আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন তাদের প্রতিমাসে স্কুল থেকে মাত্র এক হাজার থেকে দুহাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু  করোনা পরিস্থিতির জেরে সেই বেতন এখন বন্ধ আছে। পরিস্থিতিতে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি এই পরিস্থিতিতে তারা গৃহশিক্ষকতাও করতে পারছেন না। আগামী দিনে কিভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে তারা কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাই এদিন তারা জেলা স্কুল পরিদর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার দাবি পেশ করেছেন।

মন্তেশ্বর ব্লকের পিপলন শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের আংশিক সময়ের শিক্ষক সুপ্রিয় বন্ধু বলেন, আমাদের বেতন খুবই কম। আমাদের কোনও স্থায়িত্ব নেই। তাই সংসার চালাতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছি। তাই আমাদের স্থায়িত্ব, নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো, স্বাস্থ্যসাথী সুরক্ষা প্রদান, শারদ উৎসবে বোনাস প্রদান সহ একাধিক দাবি নিয়ে পথে নেমেছি।

পূর্ব বর্ধমান আংশিক শিক্ষক শিক্ষিকা সংগঠনের সভাপতি অঞ্জন কুমার দাস আমরা আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিভিন্ন স্কুলে কেউ পাঁচ বছর কেউবা দশ বছর শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমাদের কাজের কোনও স্থায়িত্ব নেই। আমরা ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তার দাবি জানাই। এসএসসি পরীক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবি জানাই। এছাড়া আন্দোলনরত অবস্থায় যাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তাদের পুনরায় নিয়োগের দাবি জানাই আমরা।

আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য মানব ঘোষ বলেন, শুধু এই জেলায় নয়, এদিন আরও দশটি জেলায় আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা স্কুল গুলিতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজকর্ম করি। স্কুলের মিড ডে মিল থেকে সবুজসাথী, ছাত্রছাত্রীদের খাতা দেখা সমস্ত কিছুতেই আমরা অংশ নিই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের স্থায়ীকরণ নেই, ন্যায্য বেতন নেই। তাই স্থায়ীকরণ, চাকরিতে সিট সংরক্ষণ, ন্যায্য বেতন, অবসরকালীন এককালীন ভাতা সহ একাধিক দাবি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পেশ করেছি আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *