আমাদের ভারত, ২৬ নভেম্বর: মহাগুরুকে নিয়ে জেলায় জেলায় একের পর এক কর্মসূচিতে ব্যস্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলের সব ফাঁকফোকর মেরামত করে নিতে চাইছে পদ্ম শিবির। একই সঙ্গে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে ছাড়ছেন না এই বিজেপি নেতা। বাঁকুড়ায় মহাগুরুর পাশে বসে কেষ্টর বিরুদ্ধে দল কোনো পদক্ষেপ কেন করছে না তাই নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতো একাধিক বিষয়ে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা মন্ত্রীদের। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে যেতেই দল তাকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। বরং খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করেছেন তার হয়ে। যা নিয়ে সরব বিরোধীরা। তৃণমূলের একটা অংশের মতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রতকে নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করবে না দল। বরং অনুব্রত জেল থেকে আদালত যাওয়ার ফাঁকে বলেছেন সারাজীবন তিনি জেলে থাকবেন না। আসলে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি ছাড়া পাবেনই। যদিও এখন পরিস্থিতি অন্য। এখন তাকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি যেতে হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে আসলে দল ঘাঁটাতে চায় না। কারণ তার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যাতে তৃণমূলের নেতাদের জেলে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
কেষ্টকে সভাপতি পদে রেখেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তো কোনও উপায় নেই, কারণ অনুব্রত মণ্ডলের হাতে যেসব তথ্য রয়েছে সেইসব তথ্য যদি তিনি সিবিআই ইডিকে বলে দেন তাহলে রক্ষাকবচ উঠে গিয়ে জেল যাত্রায় শুধু সময়ের অপেক্ষা হয়ে যাবে। তাই অনুব্রতকে কেউ ঘাঁটাতে চাইছে না।”