আমাদের ভারত, বারুইপুর, ২৯ জুন: বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি বাস মালিকদের কিন্তু সরকার সেই ভাড়া না বাড়ানোয় এবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বাস মালিকরা। ফলে বন্ধ বারুইপুর–বারাসাত, বারুইপুর–বাবুঘাট রুটের বাস। বাস বন্ধ হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সাধারন মানুষজন থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।
একেতে ট্রেন বন্ধ। ফলে কলকাতায় যাওয়ার জন্য সাধারন মানুষের অন্যতম ভরসা বাস। শুধু বারুইপুর নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, জয়নগর, কুলতলি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই বারুইপুর–বারাসাত, বারুইপুর–বাবুঘাটের ২১৮ নম্বর রুটের বাসের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন নিজের নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য এই রুটের বাসের উপরেই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন নির্ভরশীল। কিন্তু ডিজেলের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাস মালিকরা। তাই মাসে বাস পিছু সরকারি পনেরো হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হলেও বাস চালাতে রাজি হচ্ছেন না তাঁরা। কারন তাঁরা চাইছেন স্থায়ী সমাধান। যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করলে বাস চালানো সম্ভব নয় বলেই দাবি তাদের। কারন প্রতিদিন পাঁচশো টাকা করে সরকারি ক্ষতিপূরণ বাস মালিকদের দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সেই টাকায় সম্ভব নয়। প্রতিদিন রাস্তায় বিভিন্ন কারণে বাসগুলোকে ফাইন দিতে হচ্ছে। তার ওপর জ্বালানির জন্য বাড়তি খরচ। সেই ক্ষতিপূরণ করতে হলে ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই বলেই জানাচ্ছেন বাস মালিক ও কর্মচারীরা। আর সেই কারনেই আপাতত বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন তারা।
বাস বন্ধ হওয়ায় কারণে নাজেহাল হতে হচ্ছে এলাকার সাধারন মানুষ ও নিত্য যাত্রীরা। বাস না পেয়ে কেউ একের পর এক অটো পাল্টে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তো কেউ সরকারি যে দু একটি বাস চলছে সেই বাসে বাদুরঝোলা হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ বা রাস্তায় চলতি ট্রাকে করে নিজের নিজের গন্তব্যে পৌছনোর চেষ্টা করছেন।