আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৭ মে: শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। রামপুরহাট স্টেশনে এমনই অভিযোগ করলেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা। ফলে রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর শ্রমিকরা ফের চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, ৫ মে রাতে ০৭০০৩ আর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনটি তেলেঙ্গনা রাজ্যের ঘাটকেসর স্টেশন থেকে ১২০০ যাত্রী নিয়ে বিহারের ভাগলপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই রাতে ট্রেন ছেড়ে আসানসোল, দুর্গাপুর হয়ে ট্রেনটি রামপুরহাট স্টেশনে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি চার ঘন্টা দেরিতে সকাল ৯ টা নাগাদ রামপুরহাট স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের কাছে খাবার এবং পানীয় জলের অপ্রতুলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ট্রেনের যাত্রী হাইদ্রাবাদে কর্মরত মহম্মদ হজরত, মিরাজ সেখরা বলেন, “ট্রেন ছাড়ার আগে রাতে একবার খাবার দিয়েছিল। তারপর বুধবার রাতে ডাল ও ভাত দেওয়া হয়। তারপর থেকে আর খাবার কিংবা পানীয় জল কিছু মেলেনি। ফলে ট্রেনের সমস্ত যাত্রী সকাল পর্যন্ত না খেয়ে রয়েছে। অনেক বাচ্চা রয়েছে অভুক্ত অবস্থায়”। এদিন ট্রেন ঢোকার আগে রামপুরহাট স্টেশন ঘিরে ফেলে আরপিএফ, জিআরপি ও রাজ্য পুলিশ। তাদের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। বেশ কিছু যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের কল থেকে বোতলে পানীয় জল ভরে নেন। সাড়ে ন’টা নাগাদ ট্রেন রামপুরহাট স্টেশন থেকে ছেড়ে দেয়। ট্রেন ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই চেন টেনে ট্রেনের গতি থামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রামপুরহাট শহরের দুটি ওয়ার্ডের মাঝে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। সমস্যায় পড়েন ১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ। দীর্ঘক্ষণ পর ট্রেন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর মানুষ যাতায়াত শুরু করে।
এদিকে স্টেশন ফাঁকা হতেই বেসরকারি ঠিকাদারের লোকজন দিয়ে প্ল্যাটফর্ম স্যানিটইজ করা হয়।