আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ জুলাই: বনগাঁর পর ফের গোবরডাঙ্গায় চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। এমনই অভিযোগ তুলে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঘেরাও। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘেরাও করা হয় ওই হাসপাতালের মালিক ও এক চিকিৎসককে। এই নিয়ে রাতভর উতপ্ত হয়ে ওঠে গোবরডাঙ্গা চত্বর। মৃতের নাম বেরী হীরা (৪৫)।
সূত্রের খবর, ২৩ জুলাই স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন ঠাকুরনগরের কারোলা
গ্রামের বাসিন্দা বেবী হীরা।স্বামী অম্বরিশ হীরার অভিযোগ, ২৪ তারিখ তার গলব্লাডার অপারেশন
হয়েছিল। রবিবার বিকেল পাঁচটা
নাগাদ বেরী দেবীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সেই সময় চিকিৎসকও ছিল না বলে অভিযোগ। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে দমদমের একটি নার্সিংহোমের নিয়ে যেতে বলেন। দিশাহারা হয়ে রোগীর পরিবার দমদমের উদ্দেশ্যে রওনা
দেয়। গুমার কাছে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর মৃতদেহ নিয়ে গোবরডাঙ্গার ওই নার্সিংহোমে ফিরে আসেন তাঁরা। চিকিৎসার গাফিলতির
অভিযোগ তুলে চিকিৎসক
সমুদ্র গুপ্ত ও নার্সিংহোমের মালিক শঙ্কর
বিশ্বাসকে ঘেরাও করে। অভিযোগ, ঠিকমতো রোগীর চিকিৎসা না করেই হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল, নার্সিং হোমের বিল বাড়ানোর জন্য।শ্বাসকষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সময়
মতো ভেন্টিলেশনে রাখেনি। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিবার।