সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৮ ডিসেম্বর: ওষুধের টাকা বাকি থাকায় মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স
আটকে রেখে ওই অ্যাম্বুলেন্সে অন্য রোগী পাঠানোর অভিযোগ উঠল অশোকনগর পৌরসভা
পরিচালিত হাসপাতালের
কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর তাতেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়র।এই ঘটনার পর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত প্রৌঢ়র নাম ননীগোপাল দাস (৭২)।
নয়া আঙ্গিকে অল্পদিন হল ফের কাজ শুরু করেছে
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা পরিচালিত
সেবাসদন (মাতৃসদন) হাসপাতাল।কিন্তু পেশাদারিত্বের প্রবল অভাব তার পিছু ছাড়েনি।বাম আমল থেকে সেই গাফিলতির চিত্রই ফুটে
উঠছে। রবিবার বিকেলে তেমনই
এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল এই হাসপাতালে।বাথরুমে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ননীগোপাল দাস নামে ৭২ বছরের এক প্রৌঢ়। তার বুকে ব্যথা শুরু হয়।ওই প্রৌঢ়কে চিকিৎসার জন্য সেবাসদনে নিয়ে আসেন
পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক তার প্রাথমিক
চিকিৎসা করে আরজিকর
হাসপাতালে রেফার করেন। ওই প্রৌঢ়র পরিবারের
লোকজন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসেন।কিন্তু সেবা সদনের ওষুধ
ব্যবসায়ী জনৈক জীবন নামে এক ব্যক্তি রোগীর
ওষুধের টাকা বাকি আছে বলে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে বলে অভিযোগ। জীবন ওই হাসপাতালের ওষুধের দোকানের কর্মী বলে
জানা যায়। অভিযোগ, এভাবে রোগী
আটকে রেখে ওই অ্যাম্বুলেন্সে অন্য রোগী
পাঠায় জীবন। আর এর ফলে সময় প্রায়
দু’ঘন্টা পেরিয়ে যায়। এরপরেই মৃত্যু হয় ওই
প্রৌঢ়ের। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রয়াত প্রৌঢ়ের
পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের অভিযোগ, জীবন
নামে ওই ব্যক্তির গাড়ি আটকে রাখার ফলেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে সেবাসদন চত্ত্বরে
রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।