
গোপাল রায়, আরামবাগ, ২৫ মার্চ: লকডাউনের তৃতীয় দিনে আরামবাগ থানা ও প্রশাসনের তরফ থেকে টহলদারি চলছে আরামবাগ মহাকুমা জুড়ে। এক জায়গাতে একাধিক লোকজন থাকলে তাদের একত্রিত থাকতে মানা করা হচ্ছে। লকডাউন অমান্য করায় কিছু কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। আরামবাগ, খানাকুল, পুড়শুড়া , গোঘাট সহ সমস্ত এলাকায় দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে, পাইকারি ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা।
আজ বুধবার তৃতীয় দিন সকাল থেকে লক ডাউনকে উপেক্ষা করে আরামবাগ পুরাতন বাজারে জমায়েত প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। মুদিখানা, সবজির দোকান খোলা থাকায় মানুষজন ভিড় জমিয়েছিলেন। লকডাউন ও করোনা ভাইরাসের সতর্কতার কোনও নিয়ম-নীতির কথা মাথায় না রেখে বাজারে মানুষজন কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়। পুলিশ ও প্রশাসন মানুষজনদের দূরত্ব বজায় রাখতে সতর্ক করলেও তা মানছেন না।
আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী ও আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে সাবধান থাকতে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিলি করা হয়।
অন্যদিকে দুশ্চিন্তায় ওষুধের দোকানদাররা। লকডাউনের পর থেকেই আরামবাগের বহু ওষুধের পাইকারি দোকান বন্ধ। ফলে খুচরা ওষুধ বিক্রেতা দোকানগুলি প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। সমস্যায় পড়েছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। ওষুধের ডিলাররার দোকানগুলি খোলার ব্যাপারে তারা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। অবিলম্বে ওই দোকানগুলি খোলার আবেদন জানিয়েছেন।