
অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ঢাকা, ৮ জানুয়ারি: সরকারের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন থাকতে পারে। সেই সম্পর্ক আরও সহজ ও সুদৃঢ় হয় সংশ্লিষ্ট দু’দেশের মানুষ যদি পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। শনিবার রাতে বাংলাদেশে আসা ভারতের সাংবাদিকদের এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
ক্লাবের ৬৮ বছরের ইতিহাসে তিনি প্রথম মহিলা সভানেত্রী হয়েছিলেন। এবারেও তিনি এই পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সমাবেশে তিনি এই জয়ের কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ফরিদা বলেন, “আমি এর আগে দু’বার এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও ছিলাম। এসবের জন্য যে অনুপ্রেরণা দরকার সেটা শেখ হাসিনার কাছেই পাই। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তিনি সর্বতোভাবে উদ্যোগী। বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেভাবে উন্নতি করছে, তাতে দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশান্বিত হওয়ার বিশেষ কারণ আছে। তবে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে কিছু সমস্যা আছে। সাংবাদিকরাই তা দূর করতে পারবেন।“ অতীতে কীভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে, তার আলোচনা করেন তিনি।
ফরিদা বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ এক গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। এটা রক্তের সম্পর্ক। আমাদের ১৩ জন সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। ভারতের দু’জন ওই সময় খবর করতে এসে চিরকালের মত নিখোঁজ হয়েছেন। এঁদের সকলের কথা স্মরণ করছি।” ক্লাবের তরফে সম্পাদক শ্যামল দত্তও এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল্যায়ণের ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রেস ক্লাব কলকাতা এবং অসমের সাংবাদিকদের তরফেও বলা হয়, এই সম্পর্ক উন্নয়নই শান্তি ও সম্প্রীতির বাতাবরণ স্থায়ী করতে পারে। উভয়ের তরফেই স্মারক উপহার দেওয়া হয় ফরিদা ইয়াসমিনকে।