সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউটাউন, ৯ জানুয়ারি: মদ্যপান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঘরে ভাঙ্গচুর করার পর মোবাইলে কথা বলতে বলতে আচমকাই উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সামনেই আবাসনের ১৩ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক চিকিৎসক। বুধবার গভীর রাতে নিউটাউনের আকাঙ্খা মোড়ের ঘটনা। নিচে পড়ামাত্রই মৃত্যু হয় হেমেন্দ্রকুমার চৌধুরী নামে ওই চিকিৎসকের। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি কেন এই ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হেমেন্দ্রকুমারবাবু তাঁর স্ত্রী ডা: ভূমিকা ভাবনা চৌধুরির সঙ্গে নিউটাউনের ওই আবাসনে থাকতেন। তাঁর স্ত্রীর দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় ফিরেই একটি ফোনের পর অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করেন। ঘরে বসেই মদ্যপান করতে থাকেন। স্ত্রী বাধা দিলে বচসা হয়। এরপরই স্ত্রীকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ওই চিকিৎসক। এরপর ঘরের মধ্যে ভাঙ্গচুর চালানো শুরু করেন। এরপরই ভূমিকাদেবী প্রতিবেশীদের ডেকে বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় নিউটাউন থানায়।
পুলিশের তরফে একাধিকবার হেমেন্দ্রবাবুকে ঘর খোলার জন্য আবেদন করা হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। এই পরিস্থিতিতেই ফের মোবাইলে কথা বলতে বলতে আচমকা ১৩ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন ওই চিকিৎসক।
পুলিশের দাবি, সমস্ত কিছুর মূলে রয়েছে মোবাইলে আসা ওই কল। যা হেমেন্দ্রবাবুকে প্রথমে উদভ্রান্ত আচরণ এবং পরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে। তাই তদন্তের স্বার্থে ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্ত আধিকারিকরা।