রায়গঞ্জের ওষুধ ব্যাবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পুলিশের, সাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার

আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি:
রায়গঞ্জের ওষুধ ব্যাবসায়ীকে গুলি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জের নাগরে ওষুধ ব্যাবসায়ী সুশান্ত সরকারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছ’রাউন্ড গুলি, একটি মোটরবাইক ও ছিনতাই হওয়া ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার রায়গঞ্জ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ওষুধ ব্যাবসায়ী সুশান্ত সরকারকে গুলি করা এবং টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাত দুষ্কৃতী ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। কয়েকজন ওষুধ ব্যাবসায়ীকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ধৃতদের আজ রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ঘটনার পুলিশি তদন্ত প্রায় শেষের পথে। এই ঘটনার সময় কিছু দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল, কিছু দুষ্কৃতী শুট আউট ও ছিনতাই করে। তবে এই ঘটনার সাথে কিছু ওষুধ ব্যাবসায়ীও জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

গত ২৯ জানুয়ারি রায়গঞ্জ থানার নাগর এলাকার ভাঙাবাড়ি গ্রামে হেমতাবাদের বাসিন্দা ওষুধ ব্যাবসায়ী সুশান্ত সরকারকে গুলি করে তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সুশান্ত বাবু প্রাণে বেঁচে গেলেও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার দুদিন বাদেই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ডালখোলায় গোপন ডেরা থেকে ছিনতাইকারী গ্রুপের কিং পিন আবদুল খালেককে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এরপর খালেককে নিয়ে ঘটনাস্থল নাগরে গিয়ে পুরো ঘটনার পুননির্মাণ করে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে পুলিশ অফিসারেরা। এরপর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে শনিবার আলম সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই গুলি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট সাতজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছ’রাউন্ড গুলি, একটি মোটরবাইক ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here