গোপাল রায়, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ১১ আগস্ট: করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য আরামবাগ থানার অন্তর্গত পল্লীশ্রী ব্রিজের নীচে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ এলাকায় মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই সময় গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মাটি খুঁড়তে বাধা দেয় প্রশাসনকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করে এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানাগেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই
মৃতদেহগুলিকে পোড়ানোর মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের তরফ থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে চলছিল প্রস্তুতির কাজ। ওই সময় প্রস্তুতির কাজ চলছে দেখে ঘটনাস্থলে গ্রামের লোকজন হাজির হয়। আরামবাগের তারকেশ্বর রোডের পল্লিশ্রী মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক ঘন্টা ধরে পথ অবরোধ করে রাখে। পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি, এই নদীর জলেই আমাদের চাষবাস, কাপড় কাচা থেকে শুরু করে স্নান করা সবই করতে হয়। ফলে করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহগুলি এখানে পুড়িয়ে দিলে তার কাঠ কয়লা, জামা, কাপড় সবই এই নদীর জলে পড়বে, এমনকি পোড়ানার সময়ও দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাতে ছোট থেকে বড় সবাই করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। এই নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাজে বাধা দেয়। পুলিশের সাথে বচসা শুরু হতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরও পুলিশ বাহিনী এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
এলাকাবাসীরা বাধা দেওয়ার ফলে মাটি খোঁড়ার কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানাগেছে। তবে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও বেশ কিছু সময় পর পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধে গ্রামবাসীদের, পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। ভাঙ্গচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় ১১ জন মহিলা সহ মোট ১২ জনকে আটক করে আরামবাগ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ সহ ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।