
আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৫ মার্চ: লকডাউনের মধ্যে অত্যাবশকীয় পন্য কিনতে বাজার ও দোকানগুলিতে যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম মেনে ক্রেতারা জিনিসপত্র কেনেন তার নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি বাজার ও দোকানগুলিতে যৌথ অভিযান চালালো রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ ও রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার এবং রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলাজুড়ে লকডাউন সফল করতে বিশেষ অভিযানে নামেন। খোলা দোকানের সামনে এক মিটার দূরত্বে সাদা রং দিয়ে দাগও টেনে দিলেন তাঁরা। লক্ষ্য সংক্রমণ আটকানো। ওই দাগের মধ্যে দাঁড়তে হবে ক্রেতাদের।
রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সাধারন মানুষকে সচেতন হতে হবে। লকডাউন সফল করতে আমরা পুলিশ প্রশাসন বদ্ধপরিকর এবং জনসাধারনের সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন। দোকানগুলিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লক ডাউন না ভেঙে জিনিসপত্র কিনতে হবে।
যেসমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ওষুধ কেনাকাটা করতে সাধারন মানুষ পথে বেড়িয়েছেন তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জিনিসপত্র কিনতে এবং দোকানদারদের সেই নিয়মের মধ্যে থেকেই জিনিসপত্র বিক্রি করার নিদান দিলেন রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
দোকানগুলির সামনে থাকা জায়গায় এক মিটার দূরত্বে সাদা রঙ দিয়ে গোল গোল মার্কিং করে দেওয়া হল। নির্দিষ্ট দূরত্বের ওই গোল মার্কিংএ দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের জিনিসপত্র কিনতে হবে। যাতে মানুষের মধ্যে কোনও সংযোগ না ঘটে। এর পাশাপাশি জিনিসপত্র কেনাকাটা হলেই বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অযথা যেসব মানুষ বের হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যাবস্থা নিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভাও।