আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৯ ডিসেম্বর: হিলির পিকনিক স্পটে সাধারণের জন্য কড়াকড়ি, আর প্রকাশ্যে মদ খেয়ে গড়াগড়ি পুলিশ কর্মীদের। প্রশ্নের মুখে নিরপত্তা ব্যবস্থা। প্রকাশ্য দিবালোকে উর্দিধারী রক্ষকদের এমন ভূমিকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পিকনিক করতে যাওয়া মানুষজনেরা। রবিবার হিলি ব্লকের সারংবাড়ি ফরেস্টের এমন ঘটনায় একদিকে যেমন প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তেমনি অন্যদিকে জোড়ালো প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। এই ঘটনা নিয়ে আইন রক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষেরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস হিলি থানার ওসির।
হিলির ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিওড়ের সারংবাড়ি ফরেস্ট জেলার পিকনিকের জন্য অন্যতম জায়গা হিসাবে চিহ্নিত।যেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনান্য জেলাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান পিকনিকের এই দিনগুলিতে।মরশুম শুরুর আগেই ওই ফরেস্টে পরিবেশ দূষণ রোধ সহ পিকনিকের মরশুমে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে বনভোজনকারীদের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিল ব্লক প্রশাসন। যেখানে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো বন্ধের পাশাপাশি প্ল্যাস্টিক ও থার্মোকল সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সচেতনতার বার্তা দিতে ফরেস্টে প্রবেশের আগেই ব্যানার ও ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ২৫শে ডিসেম্বরের আগে থেকেই ফরেস্টে ঢোকার আগেই মাদক সামগ্রী থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ কর্মীরা। এদিন সকাল থেকে পিকনিক স্পটে সেই চিত্র দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে এক উল্টো চিত্রও ধরা পড়েছে সারং বাড়ি ফরেস্টে। খোদ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাই উর্দি পড়ে মদ ঢালছেন ও খাচ্ছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ কর্মীদের এমন নক্কারজনক ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে। এই ঘটনায় পিকনিক করতে আসা মানুষজনেরও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।
হিলি থানার ওসি তাসি থিরিং শেরপা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হিলির বিডিও সৌমেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, সারেংবাড়িতে বনভোজনকারীদের জন্য বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো যাবে না। একই সাথে প্ল্যাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।