আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩১ জুলাই : রামনগরে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়ি যাওয়ার পথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের রাতুলিয়াতে আটকানো হল সায়ন্তন বসুকে। এর আগে কোলাঘাট মোড়ে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ। কোলাঘাটে ব্যারিকেড দেখে পাঁশকুড়া এগিয়ে গেলে পাঁশকুড়ার রাতুলিয়াতে সায়ন্তন বসুকে আটকায় পুলিশ। আগে থেকেই রাতুলিয়ায় মজুত ছিল পাঁশকুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, তারাই আটকায় সায়ন্তন বসুকে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে অবশেষে বাধ্য হয়ে কলকাতা ফিরে যান সায়ন্তন বসু।
গত পরশু রামনগর থানার হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কঁচুড়ী গ্রামে (অর্জুনীর ৪১নম্বর বুথ) বিজেপির বুথ সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার ধারে আমগাছ থেকে। আজ সেই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সায়ন্তন বসুর। রামনগর সহ আসে পাশের এলাকায় ১৪৪ ধরা চলছে তাই সায়ন্তন বসুকে যেতে দেওয়া যাবে না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়। এও জানানো হয় যে, তিনি গেলে এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। তাই কোনোভাবেই তাকে এলাকায় যেতে দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত রামনগরের মৃত বুথ সভাপতির পরিবারের অভিযোগ ছিল বিজেপি করার অপরাধে প্রায়শই হুমকি দিতেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। তাই খুন করা হয়েছে ওনাকে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের রিপোর্টে খুনের কোনো প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেউ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।