স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১২ জুন: আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল আসামিকে। তারপরেই পুলিশ এলাকায় ভাঙ্গচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি কৃষ্ণগঞ্জ থানার বাবলাবন গ্রামের। রাতভর উৎকণ্ঠা গ্রামবাসীদের মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গতকাল রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানা থেকে এলাকায় নাকা চেকিং করা হচ্ছিল। মাতালদের ধরতেই বেড়িয়েছিল পুলিশ। এএসআই বশির আহমেদ এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই নাকা চেকিংয়ে গিয়েছিল। এই এলাকায় প্রায়ই মাতালদের দেখতে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে প্রায়ই মাঠের মধ্যে বসে মদ খাওয়ার অভিযোগ আসে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গতকাল চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল। পাশে একটা বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। পুলিশ যাদের ধরেছিল তারা যখন চিৎকার চেঁচামেচি করে তখন অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ১২- ১৪ জন ছুটে এসে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশের গাড়ির পেছনের কাঁচ ভেঙ্গে দেয়, এবং আসামিদের সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। এরপর পুলিশ ফোর্স সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকে মারধর করে আসামি ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ, সরকারি গাড়ি ভাঙ্গচুর সহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ সুনন্দন বিশ্বাস এবং সুব্রত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গতকাল রাত দশটা নাগাদ কৃষ্ণগঞ্জের বাবলাবন গ্রামে হঠাৎই পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। অভিযোগ, অনেকেই পুলিশের পোশাক পরে ছিল আবার অনেকেই পোশাক ছাড়াই হাতে লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাঙ্গতে থাকে কারো টিনের বেড়া, কারোর কাঠের দরজা, কারোর বা টালির চাল। বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ সহ দু’এক জন মহিলার গায়ে হাত দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন এলাকাবাসীরা।
অন্যদিকে কৃষ্ণগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ওই এলাকার বেশ কিছু যুবক বাধা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের পালাতে সাহায্য করে। ভাঙ্গচুর করা হয় পুলিশের গাড়ির কাঁচ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। গোটা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে গতকাল রাত থেকেই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।