খানাকুলে দুই পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, পালটা অভিযোগ বিজেপির

ছবি: আক্রান্ত কনস্টেবল মহম্মদ হাসান হোসেন।

আমাদের ভারত, আরামবাগ, ২৯ নভেম্বর: উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর উত্তপ্ত খানাকুল। এবার দুই পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মারধর করে এবং বাড়িতে ভাঙ্গচুর করেছে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল থানার পিলখানা এলাকায় ।

বিজেপির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মারধর করেছে। তাদের মন্ডল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মাঝি উপড় হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওই সময় দুই পুলিশ কর্মী উপস্থিত ছিল বলে বিজেপির দাবি। তাদের উপস্থিতিতেই মৃত্যুঞ্জয় মাঝি এবং তাঁর বাড়ির সদস্যদের মারধর করা হয়। বাড়ির জিনিসপত্রও ভাঙ্গচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুই কর্মী দুটি বাইক নিয়ে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। তখনই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। তাদের বাইক দুটিও ভাঙ্গচুর করা হয়।

তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপি ও পুলিশের সংঘর্ষ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় মাঝি সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে খানাকুল থানার পুলিশ।

বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, পিলখানায় গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওখানে তান্ডব চালায়। গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই এলাকায় আমাদের মন্ডল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মাঝির বাড়ি ভাঙ্গচুর করে, তাঁকে এবং বাড়ির সদস্যদের মারধর করে। পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল দুষ্কৃতীরাই পুলিশের উপর টর্চার করে। পুলিশ শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হল, আর বিজেপির ওপর দোষ চাপিয়ে বিজেপির কার্যকর্তাদের গ্রেফতার করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here