অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় প্রেমিক কে নিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর, বালুরঘাটে টোটো চালকের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে

আমাদের ভারত , বালুরঘাট, ২৪ জানুয়ারি : টোটো চালকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। প্রেমিকের সাথে যোগসাজশ করেই স্বামীকে খুন স্ত্রীর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। বুধবার বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত স্ত্রী জয়ন্তী বর্মনকে। একই সাথে পলাতক প্রেমিক সুধাংশু বর্মনের খোঁজেও তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বাকি দুই জনের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন পেশায় টোটো চালক সুকুমার বর্মন। বৃহস্পতিবার সকালে বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম রায়নগরের পাঙারপাড়া এলাকায় একটি ফাঁকা মাঠে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পশ্চিম রায়নগর ফরেস্টে তাঁর জুতো উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে বেশকিছু রক্ত দেখে পুলিশের অনুমান ওই এলাকাতেই মাথায় আঘাত করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সুকুমারকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশকিছু দিন ধরে সুকুমারের বাড়িতে যাতায়াত ছিল প্রতিবেশী যুবক সুধাংশু বর্মনের। সেই সূত্রেই জয়ন্তী বর্মনের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে বিবাদ চলত বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। বুধবার সন্ধ্যায় সেই ঝামেলা থেকেই বাড়িতে টোটো ফেলে বেড়িয়ে যান সুকুমার। সেই সময় তাঁর সাথে ছিল অভিযুক্ত সুধাংশু বর্মন ও অপর এক প্রতিবেশী গজেন বর্মনও বলে খবর। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁরা একসঙ্গে থাকলেও কিছু সময় পর লসুধাংশু সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে সুকুমারের সন্দেহ হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসে সে। যখনই স্ত্রীর সাথে সুধাংশু নামে ওই প্রতিবেশী যুবকের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে তার স্বামী বলেও সুত্রের খবর। আর যারপরেই তাকে খুন করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

মৃতের ভাই পলাশ বর্মন জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলাতেই তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে । ঘটনা জানিয়ে অভিযুক্ত জয়ন্তী বর্মন, সুধাংশু বর্মন এবং গজেন বর্মনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা চান অভিযুক্তদের ফাসি।

মৃতের আত্মীয় দুলাল মহন্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা হওয়া জরুরী। পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক সেটাই চান তিনি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here